রংপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে তার ছোট ভাই ওয়াহেদুজ্জামানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মজিদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লালমনিরহাট জেলাতেও ৫ আগস্টের পর সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আটটি মামলা হয়েছে।

নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর তাকে মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় নেওয়া হয়। সেখানে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার সাংবাদিকদের বলেন, নুরুজ্জামান আহমেদকে গত ৪ আগস্ট রংপুর সিটি বাজার এলাকায় মাহমুদুল হাসান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (কালিগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৯ সালে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র জ জ ম ন আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”

ঢাকা/পলাশ/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ