শেষ পর্যন্ত ১১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
Published: 30th, January 2025 GMT
নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পরে ১১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার গাজায় হামাস তিনজন ইসরায়েলি এবং পাঁচজন থাই জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলের। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বন্দিদের মুক্তির সময় পিছিয়ে দেয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের যেভাবে উন্মুক্ত স্থানে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা জিম্মিদের জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। পরবর্তীতে জিম্মিদের মুক্তির সময় নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদারের প্রতিশ্রুতি হামাস দিলে এরপরেই ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে। অবশ্য দুই ঘণ্টা পরে নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, হামাস জিম্মিদের মুক্তির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, তিন দেশের মধ্যস্থতায় চলতি মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ৪২ দিনের পর্ব অনুসারে, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’