চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
Published: 30th, January 2025 GMT
চাঁদপুর জেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আগামী ২ বছরের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গঠিত হয়। সভাপতি হিসেবে আমি তৃতীয় মেয়াদে ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ তালুকদার দ্বিতীয় মেয়াদে এ কমিটিতে দায়িত্ব পালন করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কার্যকরী কমিটি এ সমিতির কল্যাণে আগামী দিনে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। একই সাথে যেকোন আইনী সহায়তা নিতে আমাদের কাছে সবাই আসতে অনুরোধ করছি।”
ঢাকা/অমরেশ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামে মাদকসেবনের টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে (৬৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মো. সুমনকে (৩৪) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুমন উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের কাজীমুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। ২০১৮ সালের ৩ জুন বিকেলে মাদকসেবনের জন্য টাকা চান তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের মেয়ে হালিমা বেগম পাখি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ১১ জুন পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তাৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান চৌধুরী। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় করেন।’
আসামিপক্ষে ছিলেন স্টেট ডিফেন্ড আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।