গোপালগঞ্জে ট্রাক চাপায় চিকিৎসক নিহত, স্ত্রী আহত
Published: 30th, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডল নিহত হয়েছেন। এতে তার স্ত্রী চিকিৎসক প্রতিভা সরকার মিতু আহত হয়েছন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাসুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসেম মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডলের বাড়ি সাতক্ষীরায়। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকতেন।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসেম মজুমদার জানান, মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসক দম্পতি সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলটি ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাশুরে পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডল ও তার স্ত্রী চিকিৎসক প্রভিতা সরকার মিতু গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী চিকিৎসক প্রভিতা সরকার মিতুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসেম মজুমদার।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার আবতাব জিলানী বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসক দম্পতি আহত হন। পরে তাদেরকে হাসপাতলে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগে চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডল মারা যান। তার স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বাদল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন