গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডল নিহত হয়েছেন। এতে তার স্ত্রী চিকিৎসক প্রতিভা সরকার মিতু আহত হয়েছন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাসুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসেম মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডলের বাড়ি সাতক্ষীরায়। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকতেন। 

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসেম মজুমদার জানান, মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসক দম্পতি সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলটি ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাশুরে পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডল ও তার স্ত্রী চিকিৎসক প্রভিতা সরকার মিতু গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী চিকিৎসক প্রভিতা সরকার মিতুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাসেম মজুমদার।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার আবতাব জিলানী বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসক দম্পতি আহত হন। পরে তাদেরকে হাসপাতলে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগে চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মন্ডল মারা যান। তার স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বাদল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ