যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের তৃতীয় ধাপে তিন ইসরায়েলিসহ আট জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আজ বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বিনিময়ে ১১ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। তবে শেষ মুহূর্তে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের

আজ প্রথমে ইসরায়েলি সামরিক পর্যবেক্ষক আগাম বারগারকে (২০) মুক্তি দেওয়া হয়। পরে মুক্তি দেওয়া হয় বেসামরিক নাগরিক আরবেল ইয়েহুদ (২৯) ও গাদি মোসেসকে (৮০)। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির বাইরে পাঁচ থাই নাগরিককেও নিজেদের সিদ্ধান্তে মুক্তি দেয় হামাস। ইসরায়েলে শ্রমিক হিসেবে তারা কাজ করতেন।

বিপরীতে শিশুসহ ১১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাদের বহনকারী গাড়ি আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। মুক্তি দেওয়ার সময় ইসরায়েলি জিম্মিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি স্থগিতের নির্দেশ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

আরবেল ইয়েহুদকে গতকাল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে মুক্তি দেয় হামাস। এ সময় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি সেখানে জড়ো হন। এতে নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দেন।

এমন সময় ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি স্থগিতের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু, যখন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। অনেকেরই আশঙ্কা, প্রথম ধাপে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারে ইসরায়েল।

গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই ধাপে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে সাতজন ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”

ঢাকা/পলাশ/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ