ভারতের বাঁধের কারণে আমাদের নদী শুকিয়ে যাচ্ছে: তারেক রহমান
Published: 30th, January 2025 GMT
ভারতের বাঁধের কারণে বাংলাদেশের নদী, খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ভারত বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের ফলে আমাদের প্রধান নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। ফলে চাষাবাদে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভারত যে বাঁধ দিচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি উপস্থাপন করতে হবে। বিগত সময়ে আমাদের সরকার আমলে বিষয়টি জাতিসংঘে উস্থাপিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরা নোমানী ময়দান মিলনায়তনে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সরকারের আমলে খাল কাটা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছিল, যা এখন ভরাট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে দেশের ছোট নদীগুলো ভরাট হয়েছে। পতিত সরকারের সময় নদী-খাল খনন কেমন হয়েছিল আপনারা জানেন। আমাদের এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আবার খাল কেটে বাড়তি পানির ব্যবস্থা করতে হবে, যা শুকনো মৌসুমে কাজে লাগবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্র ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার প্রমুখ।
এদিকে কুষ্টিয়ায় ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি, তবে দেশের কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। ঝড়, তুফান, বন্যা, খরা, বৃষ্টি যাই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সেই ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই হবে। এই লক্ষ্যপথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে আমরা তাদের প্রতিহত করব।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’