ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে অর্ধশতাব্দী ধরে এ দেশের মানুষ বারবার ক্ষমতার পালাবদল দেখেছে। তারা সামরিক শাসনও দেখেছে, নির্বাচিত সরকারের শাসনও দেখেছে। প্রত্যেক শাসকই ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। এ দেশের মানুষ রক্ত ও জীবনের মায়া তুচ্ছ করে বারবার শাসক পরিবর্তন করেছে কিন্তু তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো সরকারই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, “কোনো দল যখন এককভাবে সরকার গঠন করে, তখন তারা সহজেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। তাই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আগামী নির্বাচনে পি আর পদ্ধতি (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) প্রবর্তন করতে হবে। এটি একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।” 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো.

সিরাজুল ইসলাম এবং ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. আল আমিন। 

সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা আহসানুল্লাহ খান, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস মল্লিক, সেক্রেটারি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুফতি এনায়েত হোসেন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মৃধা, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ সরদার।

ঢাকা/অলোক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের জামাত নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাত, নিহত ১

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এক মসজিদে ঈদের জামাত নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিঘাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের মধ্যে তারাবি নামাজে কথা কাটাকাটির জেরে এই ঘটনা ঘটনা বলে জানা গেছে।

নিহত আব্দুল কাইয়ুম দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট দক্ষিণ পাড়ার মজুদ উল্লাহর ছেলে। আর ছুরিকাঘাতে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুজাহিদ আলী (৩৫)। তিনি একই গ্রামের কাজী সুন্দর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদের মধ্যে তারাবি নামাজের সময় আব্দুল কাইয়ুম ও মুজাহিদ আলীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে কাইয়ূমকে ছুরিকাঘাত করেন মুজাহিদ আলী। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি। এ ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ রিয়াজ নাদির সুমন বলেন, দুইজনের মধ্যে ঈদের জামাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা হয়েছে বলে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন সমকালকে বলেন, আমি এখন ঘটনাস্থলে আছি। পুলিশ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। নিহতের মরদেহ থানায় নেওয়া হবে, তারপর সুরতহাল করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ