বন্দরে সদ্য ক্রয়কৃত জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে দখলের পাঁয়তারা অভিযোগ পাওয়া  গেছে লেডি সন্ত্রাসী কবিতা বেগমসহ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের  বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গত বুধবার (৩০ জানুয়ারী)  রাতে উল্লেখিত লেডি ভূমিদৎসু নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানা পুলিশ  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদীস্থ দীঘলদী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর শহরের ৬নং মীরজুমলা রোড এলাকার মতি লাল ঘোষের ছেলে মিন্টু লাল ঘোষের নিকট থেকে বন্দর থানাধীন দীঘলদী মৌজাস্থিত সিএস ও এসএ ২৪৭ আরএস ৩৬০ নং দাগের ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে নিয়জিত আছে  বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘারমোড়া এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান।  

এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ জানুয়ারী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী দিঘলদী এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে কবিতা বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন ভূমিদৎসু ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের ক্রয়কৃত জায়গা দখলের উদ্দেশ্য অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে।

খবর পেয়ে ক্রেতা মেহেদী হাসান গত ২৫ জানুয়ারী সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে এসে কবিতা বেগমকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললে ওই সময় কবিতা বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন ভূমিদৎসু  সদ্য ক্রয়কৃত মালিক মেহেদী হাসানকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে  প্রাননাশের হুমকি প্রদানসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদান করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে ফরম পূরণ করেও প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী, মানববন্ধন

রংপুরে দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্বে ফরম পূরণ করেও এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ পরীক্ষার্থী। এতে ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়া এম এন উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মোট ৭৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেবে। গত ডিসেম্বরে আড়াই হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করে শিক্ষার্থীরা। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম। তিনি ব্যাংকে টাকা জমা না দেওয়ায় প্রবেশপত্র দিচ্ছে না শিক্ষা বোর্ড।

তামান্না আখতার নামের এক পরীক্ষার্থী বলে, ‘পরীক্ষার মাত্র পাঁচ দিন আছে। কিন্তু এখনো প্রবেশপত্র হাতে পাইনি। এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। অথচ পরীক্ষা দিতে পারব কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি।’

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান আমিনুর রহমান নামের এক শিক্ষক। তাঁর দাবি, রেজাউল ইসলাম প্রধান শিক্ষক থাকাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা নেন। কিন্তু টাকা ব্যাংকে জমা না রাখায় তাঁরা প্রবেশপত্র আনতে পারছেন না, রেজাউল ইসলামও কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষককে আগামীকাল রোববারের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করতে বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ