বন্দরে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে ব্যবসায়ীর জায়গা দখলের পায়তারা
Published: 30th, January 2025 GMT
বন্দরে সদ্য ক্রয়কৃত জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে দখলের পাঁয়তারা অভিযোগ পাওয়া গেছে লেডি সন্ত্রাসী কবিতা বেগমসহ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গত বুধবার (৩০ জানুয়ারী) রাতে উল্লেখিত লেডি ভূমিদৎসু নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদীস্থ দীঘলদী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর শহরের ৬নং মীরজুমলা রোড এলাকার মতি লাল ঘোষের ছেলে মিন্টু লাল ঘোষের নিকট থেকে বন্দর থানাধীন দীঘলদী মৌজাস্থিত সিএস ও এসএ ২৪৭ আরএস ৩৬০ নং দাগের ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে নিয়জিত আছে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘারমোড়া এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান।
এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ জানুয়ারী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী দিঘলদী এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে কবিতা বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন ভূমিদৎসু ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের ক্রয়কৃত জায়গা দখলের উদ্দেশ্য অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে।
খবর পেয়ে ক্রেতা মেহেদী হাসান গত ২৫ জানুয়ারী সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে এসে কবিতা বেগমকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললে ওই সময় কবিতা বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন ভূমিদৎসু সদ্য ক্রয়কৃত মালিক মেহেদী হাসানকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে প্রাননাশের হুমকি প্রদানসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদান করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’