মাত্র পাঁচ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। সঙ্গে খালেদ আহমেদের তোপে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান শক্ত করলো চিটাগং কিংস। 

মিরপুর শের-ই-বাংলায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চিটাগং কিংস সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয়। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাজিটি। তাড়া করতে নেমে ১৫.

২ ওভারে ১০০ রানে অলআউট হয় সিলেট। 

৯৬ রানের জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে চিটাগং। সিলেটের কেউই বিশের বেশি রান কর‍তে পারেনি। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন জাকির হাসান। ১৭ রান করে আসে রনি তালুকদার-জাকের আলীর ব্যাট থেকে। 

আরো পড়ুন:

বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ 

দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা 

৩.২ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। এর আগে ২৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। খালেদ ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন সমান ৪ উইকেট।

এর আগে টাকা না পাওয়া খাজা মোহাম্মদ নাফের ঝড় নাফের ঝড়, মাঝে মোহাম্মদ মিথুনের ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং আর শেষে শামীম হোসেন-খালেদ আহমেদের ঝড়ে দুইশর কাছে গিয়ে চিটাগং কিংস। 

সপ্তম জুটিতে শামীম-খালেদ মাত্র ৩০ বলে ৬১ রান যোগ করেন। ২ ছক্কা ৪ চারে শামীম ২৩ বলে ৩৮  ও খালেদ ২ ছক্কা  ২ চারে ১৩ বলে ২৫ রান করে বড় পুঁজিতে অবদান রাখেন।

শুরুটা হয় বাজে। প্রথম ওভারের শেষ বলে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (১)। ক্রিজে এসে ১ রানের বেশি করতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। এরপর মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নাফে। দুজনে ৫১ বলে ৯৪ রান যোগ করেন। 

মাত্র ৩০ বলে ৫২ রান করেন নাফে। মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫২ রান। সুবিধা করতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক হায়দার আলী। রাহাতুল ফেরদাউসের ব্যাটও হাসেনি। তবে তাদের অভাব পূরণ করেছেন শামীম-খালেদ। 

৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। দুটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। 

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৪ উইক ট ন র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম। 

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”

এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।

ঢাকা/রেজাউল/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ