বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলোয়াড়দের বকেয়া পারিশ্রমিকের ইস্যুতে তদন্ত করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে পারিশ্রমিক পরিশোধ না করা করায় বিসিবি, বিপিএল তথা দেশের সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে তদন্তে নেমেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। 

এজন্য তিন সদস্যের ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব এবং সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া)। কমিটির প্রধান করা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালককে। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সাত দল নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয় বিপিএলের এগারতম আসর। এই প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজন ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’। ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে শুরু হয় আয়োজন। যেখানে নতুনত্বের ছোঁয়া থাকবে বলে দাবি করা হয়েছিল। এজন্য বিপিএলের তিন ভেন্যু সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয় সরকার। 

আরো পড়ুন:

দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা 

সংগ্রাম পেরোনো সফল তাসকিনের অপেক্ষা ফুরাবে কবে?

কিন্তু বিপিএল শুরুর পরপরই সমালোচনায় বিদ্ধ হয় আয়োজন। বিশেষ করে ফ্রাঞ্চাইজিরা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না দেওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় আয়োজন। দুর্বার রাজশাহী, চিটাগং কিংস, সিলেট স্ট্রাইকার্স, খুলনা টাইগার্স কেউই চুক্তি অনুযায়ী খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়নি।

যা নজর এড়ায়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। এর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখতে দেশের ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ