গাজার চেকপয়েন্ট পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য ১০০ জন সেনা নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির সময় চেকপয়েন্ট পরিচালনার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

একটি ছোট মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র এবং রয়টার্সের দেখা একটি নিয়োগ ইমেল অনুসারে, সশস্ত্র আমেরিকান ঠিকাদারদের বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইমেলটিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং উত্তর ক্যারোলিনার ডেভিডসনে অবস্থিত লো-প্রোফাইল কোম্পানি ইউজি সলিউশনস অভিজ্ঞ সেনাদের জন্য দৈনিক ১ হাজার ১০০ ডলার পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিচ্ছে। একইসঙ্গে ১০ হাজার ডলার অগ্রিম হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। 

ইমেলের সত্যতা নিশ্চিত করে মুখপাত্র বলেন, গাজার অভ্যন্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তারা চেকপয়েন্টে কর্মী মোতায়েন করবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুখপাত্র বলেন, কিছু লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই চেকপয়েন্টে রয়েছেন। 

রয়টার্স জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, আমিরাতি কর্মকর্তারা গাজায় যুদ্ধোত্তর শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে বেসরকারি ঠিকাদারদের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এই ধারণা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”

ঢাকা/পলাশ/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ