Risingbd:
2025-04-23@16:10:53 GMT

ছাত্ররা দল গঠন করবে: ড. ইউনূস

Published: 30th, January 2025 GMT

ছাত্ররা দল গঠন করবে: ড. ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ছাত্ররা দল গঠন করবে। এ লক্ষ্যে তারা দেশজুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রধান বৈদেশিক বিষয়ক ভাষ্যকার গিডেয়েন র‌্যাচম্যানের উপস্থাপনায় একটি পডকাস্টে তিনি এ কথা বলেছেন।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোস সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই সময়  ‘র‌্যাচম্যান রিভিউ’ নামের ওই পডকাস্টে অতিথি হয়েছিলেন ড.

ইউনূস। র‌্যাচম্যান ও ড. ইউনূসের কথোপকথন লিখিত আকারে বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, তিনি নির্বাচনের সম্ভাব্য যে দুটি সময়ের কথা বলেছেন, তা ভালো সময়। কারণ, তিনি জাতীয় ঐক্য ধরে রাখছেন। তিনি এটা থেকে বিচ্যুত হতে চান না।

ছাত্রদের দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি সম্ভাবনা হলো, ছাত্ররা নিজেরাই একটি দল গঠন করবে। শুরুতে যখন তারা উপদেষ্টা পরিষদ সভা গঠন করছে, তখন আমি তিনজন ছাত্রকে আমার উপদেষ্টা পরিষদে নিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, যদি তারা দেশকে জীবন দিতে পারে, তাহলে তারা উপদেষ্টা পরিষদে বসতে পারে এবং জীবন দেওয়ার জন্য কী করছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ভালো কাজ করছে। এখন ছাত্ররা বলছে, কেন আপনারা নিজস্ব দল গঠন করছেন না, আমরা একটা সুযোগ নেব। তারা বলেছে, তাদের কোনো সুযোগ নেই, এমনকি সংসদে একটিও আসন থাকবে না। কেন? কারণ, কেউ আপনাকে (ছাত্রদের) চেনে না। আমি তাদের বললাম, পুরো জাতি তাদেরকে চেনে। তারা যা করতে চায়, সে বিষয়ে তাদেরকে একটা সুযোগ দিই। সুতরাং, তারা এটা করবে।”

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “দল গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে হয়তো তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এটাও একটা বিপদ। কারণ, রাজনীতি শুরু করলে সব ধরনের রাজনীতিবিদ তাদের সঙ্গে মিশে যাবে। তাই আমরা জানি না তারা আমাদের দেশে যে রাজনীতি, তা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারবে কি না। এ ধরনের সুযোগ আছে, যা আমাদের নিতে হবে। তবে ছাত্ররা প্রস্তুত। তারা প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা দেশজুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে।”

বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে ভারতীয়রা নেতিবাচক মন্তব্য করছে ভারত। এমনকি তারা বলছে ইসলামপন্থিরা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা এমন লক্ষণ দেখি না। অন্তত আমি এখন কোনো লক্ষণ দেখি না। তরুণরা সত্যিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের খারাপ কোনো কিছুর সঙ্গে সংস্পর্শে নেই বা নিজেদের রাজনৈতিক আখের গোছানোর ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নেই। তারা এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল গঠন করছে বা রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। এটা দরকার। কারণ, রক্ত দিয়ে তারা যেগুলো অর্জন করেছে, সেগুলো তাদেরকে রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় সেগুলো সেই সব ব্যক্তি নিয়ে যাবে, যারা বিগত প্রশাসন ও অন্যান্যের মতো সব কিছুর পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ খুঁজছে। এটাই বাংলাদেশে আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ। সুতরাং তারা এটা রক্ষা করার চেষ্টা করছে। তাই আমি বলব, ছাত্রদের স্বচ্ছ অভিপ্রায় থাকবে।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট দল গঠন র জন ত ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

কাতারকে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মূহাম্মদ ইউনূস কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি কাতারি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উৎসর্গ করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যেখানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির কারখানাও স্থাপন করা যেতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. সাওদ বিন আবদুলরহমান আল থানির আমন্ত্রণে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও প্রীতিভোজে অংশ নেন তিনি। সেখানে তিনি কাতারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সহজতর করার এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদানের প্রস্তুতির কথা জানান।

তিনি কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীতে ৭২৫ জন বাংলাদেশি সৈন্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে এ নিয়োগ আরো সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

পরে লুসাইল সিটিতে কাতারের বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পরিবহন, ব্যাংকিং এবং আতিথেয়তা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।”

বিকেলে উপ-প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন আব্দুলআজিজ আল-কাওয়ারীর আমন্ত্রণে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে মানবসম্পদ সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

সকালে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দ্বিগুণ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।

বৈঠকে কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনত হামাদ আল থানি বক্তব্য দেন এবং শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খালিলুর রহমান, বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ