আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ কুমার
Published: 30th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, আমরা যে যেখানে থাকি, আমাদের মানষিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা সবাই এগিয়ে যান আমি এসপি আপনাদের সাথে থাকবো। কেউ কেউ বলে পুলিশ চাইলেই ফুটপাত উচ্ছেদ করে দিতে পারে।
এই নারায়ণগঞ্জে ১ দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৮শ’ পুলিশ। অথচ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩৫শ’ পুলিশ। ১৮শ’ পুলিশ দিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।
আমি নারায়ণগঞ্জে আসার পর ৫৫জন ট্রাফিকে এড করেছি। অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু বাস্তবে করা আসলে কঠিন। এর মধ্যেও আমাদের যে পুলিশ আছে তা দিয়ে আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিবো। পুলিশ যদি বৈধ কাজ করে, অন্যায়ের কাজে জরিমানা করে।
তাহলে আপনারা দয়া করে বাধা দিবেনা, এই কথা আপনাদের দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জে রাস্তা গুলো ভালো না, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলেন। কিন্তু না, আপনারা পুলিশকে দোষারোপ করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে যানজট নিরসন বিষয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, কোন ঘটনায় ডারেক্ট বা ইনডারেক্ট আমাদের দিকে চলে আসে। সব কিছুতে পুলিশকে ভালো হলেও গালি দিবে খারাপ হলেও গালি দিবে। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম, তখন নারায়ণগঞ্জে যানজট ছিলো একটা মূখ্য বিষয়।
আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি। ৫ আগস্টের পর আমাদের একটা দিয়েছে, সেটা হলো সবাই আন্দোলন মুখী হয়ে গেছে। আমরা এখন কিছু বলতে গেলেই সাথে সাথে আন্দোলনে চলে যায়। পুলিশ নিয়ে খারাপ ২টা অভিযোগ হলো পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ও পুলিশ চাঁদাবাজি করছে।
আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আমাদের পুলিশের কাউকে যদি হাতে নাতে চাঁদা দেখাতে পারেন, আমি যদি তাকে সাসপেন্ড করে বাড়ি না পাঠাতে পারি তাহলে আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’
১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সহানুভূতির এক উষ্ণ বার্তা। ‘তারা আলাদা, তবে আমাদেরই মতো’-এই চেতনায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠান।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তার মানবিক ভাষণে উঠে আসে বিশেষ শিশুদের প্রতি সমাজের দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা।“ তারা কোনভাবেই সমাজের বোঝা নয়,” বললেন জেলা প্রশাসক। “তাদের মাঝেও আছে সম্ভাবনার আলো। আমাদের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো, সাহচর্য ও সহমর্মিতায় তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়া।”
ডিসি আরও বলেন, “সূর্যের যেমন তাপ না থাকলে তার মূল্য নেই, তেমনি মানবতাহীন সমাজও মূল্যহীন। তাই মানবতা দিয়েই বদল আনতে হবে দৃষ্টিভঙ্গির।”
রালিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রেলিতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন এনজিও, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অটিজম পরিবারের সদস্যরা।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয় ১১ জন অটিজম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে। জেলা প্রশাসক নিজ হাতে উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন এই সহায়ক যন্ত্রটি। উপস্থিত অনেকেই চোখের জল লুকাতে পারেননি সে সময়।
“এই সন্তানরা সমাজের সম্পদ। যদি আমরা পাশে দাঁড়াই, সঠিক সুযোগ দিই তবে তারাও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে,” বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মানুষদের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এই কর্মসূচি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং একটি মানবিক বার্তা ভিন্নতাই যে সৌন্দর্য, আর সহানুভূতিই যে প্রকৃত উন্নয়নের মূল ভিত্তি।