ঋণ নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়া গ্রহীতাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে নীতি সহায়তা দিতে পাঁচ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ  ব্যাংক। 

প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের মাধ্যমে সচল ও লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করে ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে কী ধরনের নীতি সহায়তা প্রয়োজন, সেটি দিতে সুপারিশ করবে এই কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়বে সরকার

লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন ডিপাটমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মেজবাহ উল হককে। বিআরপিডির পরিচালক শাহরিয়ারকে সদস্য সচিব করে গঠন করা এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: যুগ্ম সচিব (এফআইডি) ড.

দেলোয়ার হোসেন, অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি হকস বে এর আব্দুল হক।

কমিটি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বিবিধ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণ যেমন- কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নিম্ন প্রবৃদ্ধি, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে সৃষ্ট অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখা এবং ব্যাংক খাতকে সুসংহত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এরই ধারাবাহিকতায় নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা ও তাদের প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের মাধ্যমে সচল ও লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করে ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করেছে। 

নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতা প্রকৃত অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না এবং সমস্যাসংকুল প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও প্রতিষ্ঠানকে নীতি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে কি না, তা যাছাই-বাছাই করে সুপারিশ করবে এই কমিটি। 

৫০ কোটি টাকা বা এর বেশি অঙ্কের যে সব ঋণ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে শ্রেণিকৃত হয়েছে, সেগুলোই এই কমিটির আওতায় পড়বে।

ঢাকা/এনএফ/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঋণ ই কম ট ব যবস সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুনে শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ৩০টির বেশি দোকানও পুড়ে গেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা এই আগুন লাগার কারণও জানিয়েছে আজ বুধবার। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি বা কেউ আহতও হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। একে একে আরও ইউনিট ঘটনাস্থলে যেতে থাকে। ভোর পৌনে ৫টার মধ্যে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে আরও দুটি ইউনিট যোগ হয়। ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সাততলা বস্তিতে আগুনে ১৪ জন মালিকের বিভিন্ন আয়তনের ১৫২টি কাঁচা ও সেমি পাকা রুম এবং ২টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন লাগার মূল কারণ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট।

তালহা বিন জসিম বলেন, আজকের দুর্ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ