মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ
Published: 30th, January 2025 GMT
ড়াই শক্তি- ক্রীড়াই বল, সুস্থ্য দেহে সুন্দর মন, উৎসবমুখর পরিবেশে সিদ্ধিরগঞ্জের ‘‘মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ”র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আনন্দময় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করেন এবং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে ছিল নৃত্য, গান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি ও অন্যান্য পরিবেশনা।
শিক্ষার্থীরা তাদের অনুশীলিত প্রতিভা দেখিয়ে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে, স্কুলের ছোটদের নৃত্য এবং গান সকলের মন জয় করে নেয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক শিল্পী, শ্রেষ্ঠ বক্তা, শ্রেষ্ঠ কবি ও শ্রেষ্ঠ নৃত্য সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হোন শিক্ষার্থীরা। এই পুরস্কারগুলি শিক্ষার্থীদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে বলে আয়োজকরা জানান।
মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও দাতা সদস্য মোস্তফা কামাল মেম্বার, দাতা সদস্য আবুল কাশেম, হযরত আলী কন্ট্রাকটর, হযরত আলী, হুমায়ূন আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এমএ গাফফার ও আব্দুল মান্নান সাগর সহ অত্র স্কুলের সকল সম্মানিত দাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক- শিক্ষিকা-শিক্ষার্থীসহ আরো অনেকে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৬ ককটেল উদ্ধার, শ্রমিক দল নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৮
বাগেরহাটের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে শ্রমিক দলের এক নেতাসহ ১৮ জনকে ছয়টি ককটেলসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
কৃষি জমিতে ‘বোমা বিস্ফোণ’, কৃষক আহত
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, মো. সাগর হাসান, তুফান হাওলাদার, মো. মনি হাওলাদার, মো. নাইম মোল্লা, আরিফ হাওলাদার, রাজু মোল্লা, শাকিব আহম্মেদ রাজ, মো. সাজিদ, নিমাই সরকার, সিরাজুল শেখ, মো. মাশুক, মো. মিলন শিকদার, রবিউল সরদার, মো. ইয়াসিন আরাফাত ও মো. শাহীন ওরফে অভি শেখ। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি, নাগেরবাজার ও আশপাশের এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হযরত খানজাহান আলীর মাজার সংলগ্ন মোড়ে হোটেল জারিফে (আবাসিক) সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারীকে ককটেলসহ আটক করে তারা। এসময় ২-৩ জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত অবিস্ফোরিত ককটেল হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, এলাকায় আধিপত্য ও দখলবাজির জন্য হোটেলে ককটেল নিয়ে তারা গোপন বৈঠক করছিলেন।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, “শহরে আধিপত্য বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠককালে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ