মেডিকেলে ভর্তির ব্যবস্থা হলো সেই রাকিবুলের
Published: 30th, January 2025 GMT
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে সাঁথিয়ার নাড়িয়াগদাই গ্রামের রাকিবুল ইসলামের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। তাঁর ভর্তির খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলার হলুদঘর গ্রামের বাসিন্দা ও মোহাম্মদ আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা লন্ডন প্রবাসী এস এম মোস্তাক আহমেদ।
পাশাপাশি জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন উল্লাস রাকিবুলকে মেডিকেল সরঞ্জাম কঙ্কাল কিনে দিয়েছেন। গত বুধবার সমকালে ‘মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় রাকিবুল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে তাদের।
বৃহস্পতিবার মোস্তাক আহমেদের পক্ষ থেকে মেডিকেলে ভর্তির খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা রাকিবুল ও তাঁর মায়ের হাতে তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও লিমন হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, নাড়িয়াগদাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওয়াহেদুল ইসলাম, শরীরচর্চা শিক্ষক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, খবরটি দেখে রাকিবুল ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভর্তির খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এলাকার একটি মেধাবী ছেলে টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না, এটি হয় না। দায়িত্ববোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন তিনি।
সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, অর্থাভাবে এলাকার একটি সন্তানও যেন পড়ালেখা থেকে ঝরে না যায়। সেজন্য সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। রাকিবুলের বাবা রাজা মোল্লা বলেন, ‘সহযোগিতা করায় আমরা খুশি হয়েছি। যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের ধন্যবাদ।’
রাকিবুল বলেন, ‘যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। তবে পড়ালেখার খরচ নিয়ে এখন চিন্তা হচ্ছে। ইচ্ছাশক্তি থাকলে দারিদ্র্য কোনো ব্যাপার নয়, এটি অজুহাত মাত্র। ভবিষ্যতে ভালো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।’
নাড়িয়াগদাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, ছেলেটি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও ভর্তির সামর্থ্য ছিল না। এখন সে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ খুঁজে পেল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম সহয গ ত র খরচ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন