প্রথমবারের মতো বাকৃবিতে কৃষক দিবস পলিত
Published: 30th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষকদের মেরুদণ্ডের উপর ভর করেই বয়ে চলেছে। তবে তাদের নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, পান না যথাযোগ্য সম্মানও। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কৃষকদের প্রকৃত সম্মান জানাতে ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) এবং বাকৃবি প্রশাসন।
‘কৃষকবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণ হউক আমাদের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে ‘কৃষক দিবস-২০২৫’। কৃষকদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টার দিকে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বাউএক) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। এছাড়াও বাউরেসের পরিচালক ড. হাম্মাদুর রহমান, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “বাকৃবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কৃষকের পাশে থেকে গ্রামীণ অর্থনীতি বিনির্মাণে কাজ করছে। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ ছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ কখনো খাদ্য সংকটে পড়েনি। এর জন্য বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্বায়নের ফলে বাংলাদেশের কৃষিও প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “২০ বছর আগেও যা কল্পনা করা যেত না, এখন সেগুলো কৃষকের মাঠে উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতেই আমরা কৃষক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আরও কৃষিবান্ধব হতে চাই। কৃষকদের জন্য কৃষিকে নতুন করে সাজাতে সব স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সভা শেষে প্রতিযোগিতামূলক সবজি বাগান চাষে সেরা ছয়জন কৃষক-কৃষাণীকে সনদ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সম্মাননা প্রাপ্ত কৃষকরা হলেন, দুই বিঘা জমিতে ব্রোকলি চাষ করা ময়মনসিংহ সদরের সুহিলার ইউনিয়নের আব্দুল খালেক, পৌনে দুই একর জমিতে কলা চাষ করা বয়ড়ার আবদুর রাজ্জাক, শৈলমারীর আদর্শ সবজি চাষী আব্দুল করিম, সমন্বিত পোলট্র্রি খামারী মুক্তিযোদ্ধা বাজারের মোছা. নুরুন্নাহার, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষী ভাবখালীর হাসনা খানম এবং আদর্শ পোল্ট্রি খামারি মির্জাপুরের আব্দুল হক।
এদিন অন্যন্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- কৃষকদের কাছে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ, কৃষকদের জন্য বাকৃবির খামার পরিদর্শন এবং বীজ বিতরণ কর্মসূচি।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমজ বোনের ডেন্টালে ভর্তির সুযোগে আনন্দ, প্রথমবারের মতো আলাদা হওয়ার কষ্ট
টাঙ্গাইলের সখীপুরে যমজ বোন ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গতকাল রোববার ডেন্টাল কলেজে বিডিএসে ভর্তি পরীক্ষার (২০২৪-২৫) ফলাফলে যমজ বোন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এই দুই বোন হলেন সামিয়া জাহান ওরফে আফসানা ও সাদিয়া জাহান ওরফে শাহানা। সামিয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে এবং সাদিয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এর আগে সখীপুরে আরেক শিক্ষক দম্পতির যমজ মেয়ে যারিন তাসনিম বুয়েটে এবং যাহরা তাসনিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
আরও পড়ুনএক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা০১ মার্চ ২০২৫সামিয়া ও সাদিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সখীপুর পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা এলাকার বাসিন্দা আল আমিন মিয়া ও আফিয়া আক্তার দম্পতির যমজ মেয়ে সামিয়া ও সাদিয়া। এর আগে দুই বোন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।
যমজ বোনদের বাবা আল আমিন আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ওরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হবে। তাঁর দুই মেয়ে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে এসএসসি ও জেএসসিতে তাঁরা জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন।
সামিয়া জাহান ও সাদিয়া জাহান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন। একই টেবিলে, একই বিদ্যালয়ে ও একই কলেজে পাশাপাশি বসে পড়াশোনা করেছেন। এখন স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে দুজনকে দেশের দুই প্রান্তে চলে যেতে হবে। একজন আরেকজনকে ছেড়ে থাকবেন, ভাবতেই তাঁদের কষ্ট হচ্ছে।
বাবা আল আমিন মিয়া উপজেলার বড়চওনা-কুতুবপুর কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং জামায়াতে ইসলামীর সখীপুর উপজেলা শাখার আমির। মা আফিয়া আক্তার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সখীপুর পাইলট উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইউম বলেন, ‘ওরা আমাদের বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছিল। ওরা আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব। এবার ওই দুই বোন ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শুনে খুব খুশি হয়েছি।’