সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ডিএসসিসির তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে গত ১১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার হাত ধোয়ার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক আন্তঃস্কুল বিতর্ক এবং কলেজ পর্যায়ে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের চেয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক বিতর্কের আয়োজন করা হয়।
এক সপ্তাহে ৪ হাজার ৭৮৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ২৬২৬ জন মশক নিধনকর্মী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেন।
২৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিএসসিসি ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
এছাড়াও ২৫ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিএসসিসির আওতাধীন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় রচনা, কুইজ, জুলাই আন্দোলন-সংক্রান্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রশাসন শাখা-১ এর পরিপত্র অনুযায়ী ৭৫টি ওয়ার্ডে তারুণ্যের উৎসব আয়োজনের এ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ণ য র উৎসব ড এসস স
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।