আ.লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ
Published: 30th, January 2025 GMT
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে শহরের সার্কিট হাউজের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, “বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র জনতা নিহত হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এখনো তাদের রক্তের দাগ শুকায়নি। এখনো আমাদের সহযোদ্ধারা বিছানায় কাতরাচ্ছে। কেউ পা হারিয়েছে, কেউ চোখ হারিয়েছে। এ অবস্থায় নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করছে। তারা এই দেশটাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এখনো পর্যন্ত রাজপথ ছাড়েনি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যত শক্তি আছে, তারা এখনো নিজেদের মধ্যে ঐক্যধারণ করে আছে।”
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট আমরা তাদের যেভাবে বিতাড়িত করেছি একইভাবে এবারও বিতাড়িত করব। যেখানেই ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর, দালালদের পাবেন- সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দেবেন। আমাদের নীরবতাকে তারা মনে করেছে দুর্বলতা। তোমরা যদি রাজপথে নেমে আসো, তাহলে তোমাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।”
সমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব সাদমান বিন কবির, সদর উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুয়াইব হোসাইন।
ঢাকা/রিটন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন