বন্দরে যুবকের আত্মহত্যা
Published: 30th, January 2025 GMT
বন্দরে আল-আমিন হোসেন পাপ্পু (২২) নামে এক যুবক নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত বুধবার (২৯ জানুয়ারী) রাতে বন্দর থানার সোনাচড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আত্মহত্যাকারী যুবক আল আমিন হোসেন পাপ্পু উল্লেখিত এলাকার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে। আত্মহত্যা ঘটনার খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে আত্মহত্যাকারী যুবকের বড় ভাই হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। যার অপমৃত্যু মামলা -৩ তাং- ২৯-১-২৫ইং।
মামলার তথ্য মতে, বন্দর থানাধীন সোনাচড়া এলাকার বাসিন্দা অপমৃত্যু মামলার বাদী হৃদয় হোসেনের মা ঝরনা বেগম গত বুধবার (২৯ জানুয়ারী) রাত ৮টায় রাতের খাবার খাওয়ার জন্য নিজ বাড়ীর দক্ষিন ভিটি চৌচালা টিনের বসত ঘরে থাকা আমার ছোট ভাই আল-আমিন হোসেন পাপ্পুকে ডাকতে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় আমার মা ডাকাডাকি করে। ওই সময় আমার ভাই কোন সাড়াশব্দ না দেওয়ায় ঘরের টিনের ভেড়ার ফাকা দিয়ে দেখতে পায় যে, আমার ভাই বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় পুরাতন ওড়না পেঁচাইয়া ফাঁস লাগাইয়া ঝুলিতেছে। তখন আমার মা ঝরনা বেগম ডাক-চিৎকার করিলে আমি সহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে তাহাদের সহায়তায় তাৎক্ষনিক ভাবে আমার ভাইকে মাটিতে নামিয়ে মৃত অবস্থায় দেখি। আমার ভাই আল-আমিন হোসেন পাপ্পু অভিমান করে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় পুরাতন ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগাইয়া আত্বহত্যা করে। এ ব্যাপারে ধামগড় ফাঁড়ি এসআই শরিফ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে আত্মহত্যার কারন জানা যায়নি। পুলিশি তদন্ত অব্যহত আছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’