রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় তারা। অবরোধ শুরুর পর প্রায় ৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাস্তা ছাড়েনি আন্দোলনকারীরা।

ঘটনাস্থল থেকে সমকালের প্রতিবেদক জানান, সড়ক অবরোধের কারণে কলেজের সামনের সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আমতলী থেকে গুলশান-১ এবং গুলশান-১ থেকে আমতলীমুখী যাত্রীরা।

এদিকে, একই দাবিতে গতকাল বুধবার আমরণ অনশনে বসেন কলেজটির কয়েকজন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়লে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- গণিত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রানা আহমেদ লাকী এবং মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম তিতুমীর ঐক্যের সাত দফা দাবিগুলো হলো- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন ও ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল’ এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।

এছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ত ম র কল জ সড়ক অবর ধ স ত কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

পানছড়িতে তিন ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ির পানছড়ি থেকে তিন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে উপজেলার পূজগাং এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাঁরা সন্দেহজনকভাবে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন।

গ্রেপ্তার তিনজন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন দইচন্দ্র রিয়াংয়ের ছেলে জেমস কুমার রিয়াং (৩৩), জ্যেষ্ঠ মোহন রিয়াংয়ের ছেলে তরসেন রিয়াং (৩০) ও লাল মান জুয়ালার ছেলে লাল থাকমা রিয়াং (৩২)।

পুলিশ জানায়, লাল থাকমা আগে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি ত্রিপুরায় বিয়ে করে সেখানে স্থায়ী হন। পরে তিনিই সঙ্গে করে আরও দুজন ভারতীয় নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। গত শনিবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার রইশ্যাবাড়ি থানার চপলিং ছড়া দিয়ে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। এরপর তাঁরা রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার রাকিং লেক এলাকায় যান। সেখান থেকে আবার ভারত ফেরার পথে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, গ্রেপ্তার লালথাকমা রিয়াং রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার রাকিয়ং লেকের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২০ সালে ভারতে বিয়ে করে সেখানের নাগরিকত্ব নেন। তাঁর মা ও বাবা বাংলাদেশে বসবাস করেন। বড় মেয়ের চিকিৎসার জন্য মা–বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বেলারুশের প্রধান বিরোধী নেতার মুক্তি পাওয়ার খবর
  • ‘দেশীয় স্বাস্থ্য সেবায় আস্থা বৃদ্ধিতে কাঠামোগত সংস্কারের বিকল্প নেই’
  • পানছড়িতে তিন ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার