জিতলেই সুপার ফোর চট্টগ্রাম ও খুলনার
Published: 30th, January 2025 GMT
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম কিংস। টস হেরে ব্যাট করছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। এই ম্যাচে জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত হবে চট্টগ্রামের।
একই সমীকরণ খুলনা টাইগার্সের সামনেও। তারা আগামী শনিবার বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ দিন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামবে। ওই ম্যাচে জিতলে সুপার ফোর নিশ্চিত হবে মেহেদী মিরাজের দল খুলনারও।
চট্টগ্রাম কিংস ১০ ম্যাচের ৬টিতে জয় পেয়েছে। ১২ পয়েন্ট তুলেছে তারা। নেট রান রেট +১.
চট্টগ্রাম শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেও তারা জিতলে রংপুর রাইডার্সকে হটিয়ে কোয়ালিফায়ারে চলে যেতে পারে। কারণ শেষ দুই ম্যাচেই জিতলে নেট রান রেটে রংপুরকে ছাড়িয়ে যাবে তারা।
খুলনা শেষ ম্যাচে জিতলে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে চলে যেতে পারে সুপার ফোরে। তবে নেট রান এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। ১২ ম্যাচে ৬ জয় পাওয়া রাজশাহীর নেট রান রেট -১.০৩০। খুলনার নেট রান রেট -০.১৭৫। অর্থাৎ রাজশাহীর চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে খুলনা। ঢাকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে খুলনা জয় পেলে নেট রান রেটে রাজশাহীর নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে একেবারেই কম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন