বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী মহানগর কমিটি
Published: 30th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী মহানগরের ১১৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সংগঠনটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
কমিটিতে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আল আশরারুল ইমাম তানিমকে আহ্বায়ক ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী হযরত আনাসকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু ইয়াকুবকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, রাজশাহী কলেজের জান্নাতুল ফেরদৌস মৌকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তরিকুল ইসলাম জুয়েলকে মুখ্য সংগঠক, নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজের আনজুমান আরা আর্শিকে মুখপাত্র ও একই কলেজের মবিনা আক্তার মিমকে সহ-মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটির অন্যদের মধ্যে ৯ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১০ জনকে যুগ্ম সদস্য সচিব, ৭ জনকে সংগঠক ও ৮৩ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’