ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টারের উদ্যোগে ‘ন্যানোরেভ্যুলেশন ইন ড্রাগ ডেলিভারি অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস্) এর সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ঢাবির ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. আবু বিন হাসান সুসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাবির ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা ও ভারতের গুরু ঘাসিদাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিউর অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. জয় সিং। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কারস্ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম তালুকদার।

এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে ওষুধ শিল্প, ইলেকট্রনিক্স শিল্পসহ পরিবেশগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং যুগোপযোগী ও নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গবেষণাগারের নতুন নতুন উদ্ভাবনগুলো ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।”

বাংলাদেশে নানা ধরনের শিল্প ও সেবাখাতে আধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে ন্যানোপ্রযুক্তির প্রয়োগ, অভিযোজন, সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা অর্জন ও জনকল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার কাজ করছে।

ন্যানোপ্রযুক্তি নির্ভর গবেষণায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এ সেন্টার কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিকাদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ প্রকৌশলীকে হুমকির অভিযোগ

খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুয়েটের একটি ভবনের ছাদের ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে লাভ আরও বেশি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ নিয়ে প্রকৌশলীদের তিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ প্রেক্ষাপটে কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. গোলাম কিবরিয়া সোমবার কুয়েট উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন। 

সূত্র জানায়, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজ নিয়েছেন মোল্লা সোহাগ। কাজটি কয়েকদিন আগে শুরু হয়। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে ঠিকাদার সোহাগ প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল ও হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে ফোনে গালাগাল ও হুমকি দেন।

উপাচার্যের কাছে দুই নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মে ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ প্রফিট বা লাভ (পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। ঠিকাদার সোহাগ ১০ শতাংশ লাভ কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তাঁকে আরও বেশি লাভ দিতে হবে বলে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে জানান। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও শেখ আবু হায়াতকে গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন সোহাগ। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত বলেন, রোববার বিকেল ৩টার কিছু আগে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে– ‘তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে ১০ লাখ ২০ লাখ টাকার কাজ দিস। আমাকে দিছিস টেন পারসেন্ট লাভে।’ এই বলে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে গালাগাল করেন। পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে আমাকে দেখে ছাড়বেন, আমার বাড়ি আক্রমণ করবেন, ফুলবাড়িগেটে গেলে আমাকে দেখে নেবেন– এসব বলে হিুমকি দেন। 

নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোল্লা সোহাগ। তবে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। মোল্লা সোহাগ বলেন, আমার নেতার অর্ডার আছে– আমি কোনো জায়গায় কোনো টেন্ডারেও যাই না, কোনো ঠিকাদারিতেও নেই। আমার কোনো কাজ কুয়েটে চলে না। আমার ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কাজ পরের কথা। আমি তাদের (প্রকৌশলী) ফোন দিয়েছিলাম, কথা হয়েছে, তবে কোনো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।

কোনো কাজ চলছে না, তাহলে প্রকৌশলীদের কার হয়ে ফোন দিয়েছিলেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আবু হায়াত ও গোলাম কিবরিয়াকে ফোন দিলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ