বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করছে সুইজারল্যান্ড
Published: 30th, January 2025 GMT
বাংলাদেশসহ তিনটি দেশে নিজেদের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করেছে সুইজারল্যান্ড সরকার। গত ডিসেম্বরে দেশটির সরকার পার্লামেন্টে বিদেশি সহায়তা কর্মসূচির জন্য যে তহবিল বরাদ্দ চেয়েছিল, তার তুলনায় কম বরাদ্দ পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুইস ইনফো এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ১১০ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ (১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও ২০২৬-২০২৮ সালের আর্থিক পরিকল্পনা থেকে ৩২১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ হ্রাস করেছে। এই পদক্ষেপের ফলে দ্বিপাক্ষিক, অর্থনৈতিক এবং বিষয়ভিত্তিক সহযোগিতার পাশাপাশি বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সুইস ফেডারেল কাউন্সিল।
সুইজারল্যান্ডের নির্বাহী সংস্থা ফেডারেল কাউন্সিলকে বুধবার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট কমানোর বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি) ২০২৮ সালের শেষের দিকে আলবেনিয়া, বাংলাদেশ এবং জাম্বিয়ায় তার দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে। একই সঙ্গে ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশীয় ও বিষয়ভিত্তিক কর্মসূচি এবং সংস্থাগুলোর অতিরিক্ত বাজেটও কমিয়ে ফেলা হবে। তবে মানবিক সহায়তা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইউক্রেনে সহায়তার ওপর এই বাজেট হ্রাসের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে সুইস ফেডারেল কাউন্সিল জানিয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক অবরোধ
সরকারি তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে আমরণ অনশন শুরু করে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
ঢাকার বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, তিতুমীর কলেজের সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি জানান।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এর সাত দফা দাবিগুলো হলো- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন ও ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বিগত ২৮ বছর ধরে আন্দোলন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সরকারের পটপরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা আবারও নতুন করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেন তারা।