ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তায় ড্রোন ইউনিট, ফায়ার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন
Published: 30th, January 2025 GMT
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অগ্নিনিরাপত্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রস্তুতি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ২৪ ঘণ্টা সেবা পেতে মোবাইল নম্বর চালুসহ খোলা হয়েছে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, পুরো ইজতেমা ময়দানে অগ্নিনিরাপত্তায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৭৪ জনবল। তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিক অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রতিটি খিত্তায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হুক, ফায়ার বিটারসহ দু’জন করে ফায়ারফাইটার সবসময় দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইজতেমা ময়দান পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে দু’টি ফায়ার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে ফায়ার সার্ভিসের সেবা পেতে ০১৯০১০২০৮৬৫ ও ০২২২৪৪১০০৮২ নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। অগ্নিনিরাপত্তা প্রদানে ময়দানের বিভিন্ন স্থানে চারটি পানিবাহী গাড়ি, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স, ১৪টি পাম্প, ২২০টি ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ১৩টি জেনারেটর, ১২৮টি ওয়াকিটকি, ১৫০টি ডেলিভারি হোজ, ১৪টি ব্রাঞ্চ পাইপ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তুরাগ নদীতে (কামারপাড়া ব্রিজের নিচে) রেসকিউ স্পিড বোট ও ৪ জনের ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্রুত অগ্নিনির্বাপণে পানি প্রদানের জন্য তুরাগ নদীর তীরে ৬টি, বিভিন্ন রিজার্ভারে ৫টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টঙ্গী, উত্তরা ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনগুলো ইজতেমাকালীন স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম ইজত ম ময়দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার
স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’