ফের মধুমিতা সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা
Published: 30th, January 2025 GMT
একের পর এক দেশের সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মধুমিতা আগেই বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার সিনেমা না থাকার কারণে প্রেক্ষাগৃহটি চিরতরে বন্ধের ঘোষণা দিলেন মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
মধুমিতার কর্ণধার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ঈদের পর সিনেমা হলটি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রেক্ষাগৃহটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “দুই মাস ধরে হল বন্ধ রয়েছে। আর কোনোভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারও তো কিছু করছেন না। মাসের পর মাস লোকসান দিয়ে চালাচ্ছি। এভাবে তো চলতে পারে না। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কেন, মমর অকপট প্রশ্ন
মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী
৫৭ বছরের পুরোনো প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মোটেও সুখকর নয়। বাধ্য হয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “৫৭ বছর ধরে সিনেমা চালাচ্ছি। কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ করেই দিতে হচ্ছে। রোজার ঈদে সিনেমা চালাব, কোরবানি ঈদেও চালাতে পারি এরপর একেবারে বন্ধ করে দেব।”
উৎসব ছাড়া তো সিনেমা চলে না, দর্শক আসে না উল্লেখ করে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “দেশি-বিদেশি কোনো সিনেমাই চলছে না। শুধু সিঙ্গেল স্ক্রিনই নয়, মাল্টিপ্লেক্সেরও তো একই অবস্থা। তাদেরও তো এখন কোনো সিনেমা সেভাবে চলছে না।”
গত বছরের নভেম্বরে মধুমিতা হলে মুক্তি পায় ‘দরদ’ সিনেমা। মধুমিতায় এটি সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। এরপর দুই মাস ধরে হলটি বন্ধ রয়েছে; কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। হল বন্ধ রেখে স্টাফদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা হল ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তা জানিয়ে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “এটা ভেঙে এখানে কমার্শিয়াল বিল্ডিং করা হতে পারে। যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে আমার তো ইচ্ছে আছে এখানে মাল্টিপ্লেক্স করার।”
১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হলের উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বন ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া
২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সোলস ব্যান্ডের ৫০ বছর পূর্তির পথচলা। এরপর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজন এখনো চলছে। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সোলস এবার তাদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চট্টগ্রামেও করতে যাচ্ছে। আগামী ২ মে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেলে গাইবে সোলস।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সোলসের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি পার্থ বড়ুয়া। ঢাকার রাস্তায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার পর বাসায় ফিরে যেতে হয় পার্থ বড়ুয়াকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের তিন শিক্ষার্থী সাজেদ, সুব্রত বড়ুয়া ও আহমেদ নেওয়াজ। এর বাইরে ছিলেন দুলু ও তপন চৌধুরী—এই পাঁচজন মিলে শুরুর দিকের ব্যান্ড সোলস। সেই সময়ের কথা মনে করে আহমেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, শুরুতে সোলস ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের মতো। সোলসের কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নিজেরাই কিনে ফেলেন। তখন সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। রনি, আহমেদ নেওয়াজ, সাজিদ। এরপর আবার শুরু করেন। এসব ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা।
এই বছরে ৩ আগস্ট চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু। তপন, দুলু আর রনির বাসা ছিল একই জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সোলস ব্যান্ড করার অনুপ্রেরণা হচ্ছে লাইটেনিংস। চট্টগ্রামের সংগীত ভবনের ওপরতলায় লাইটেনিংস নামে একটা দল ছিল, যারা বিটলসকে অনুসরণ করত। বিটলস যা যা ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করত, লাইটেনিংস সবই করত। সোলসের সবাই তখন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকত, এত বিউটিফুল সাউন্ড কোথা থেকে আসছে। ওখান গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরা সংগঠিত হতে থাকে। ছোট ছোট বিয়ের অনুষ্ঠান ও হোটেলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে থাকে। এভাবেই শুরু সোলসের যাত্রা।
সংবাদ সম্মেলনে