আবারো হারল রংপুর, শেষ চারের আশা বাঁচল খুলনার
Published: 30th, January 2025 GMT
টানা আট জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করার পর রংপুর রাইডার্স টানা চার ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনা টাইগার্স তাদের ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। এই জয়ে খুলনার সুপার ফোরে যাওয়ার আশা টিকে থাকল।
খুলনার বড় জয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ওপেনার নাঈম শেখ। তার সেঞ্চুরিতে খুলনা ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে।
জবাবে সৌম্য সরকার ফিফটি করলেও দলকে জয়ের পথে তুলতে পারেননি। অবশ্য রংপুরের অন্য ব্যাটররাও ব্যর্থ হয়েছেন। এতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে আটকে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা খুলনার হয়ে নাঈম শেখ ৬২ বলে হার না মানা ১১১ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আটটি ছক্কার সঙ্গে সাতটি চারের শট আসে।
খুলনা শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করে। ওপেনার মেহেদী মিরাজ ১২ বলে ২১ রান করেন। দুটি ছক্কা ও একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। উইলিয়াম বসিস্টো ২১ বলে ৩৬ রান যোগ করেন। মাহিদুল অঙ্কন ১৫ বলে ২৯ রানের ভালো ইনিংস খেলেন।
জবাবে খুলনার সৌম্য সরকার ৪৮ বলে ৭৪ রান করেন। তিনি ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। কিন্তু দলের দরকারের সময় ঝড় তুলতে পারেননি এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এছাড়া ইফতিখার ১৫ বলে ১৯ ও শেখ মাহেদী ১৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন।
খুলনার একাদশে ঢোকা পেসার মুশফিক হাসান দারুণ বোলিং করেছেন। তিনি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। মোহাম্মদ নওয়াজ ১ ওভারে ৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। হাসান মাহমুদ তার ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তবে আবু হায়দার রনি খরুচে ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’