বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত
Published: 30th, January 2025 GMT
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশত্যাগের চেষ্টাকালে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত পাবনা পৌর এলাকার নয়নামতি এলাকার মোকাররম হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, দুপুরে তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করে আমাদের জানানো হয়েছে। আমাদের একটি টিম ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা এবং দুই শিক্ষার্থীদের নিহতের ঘটনায় তার নামে হত্যা মামলা রয়েছে। পাবনায় এনে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট পাবনা মধ্য শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও মাহবুব হাসান নিলয় (১৪) নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়। এই ঘটনায় দুটি মামলাতেই সীমান্ত আসামি হয়েছেন। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।