২১ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
Published: 30th, January 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২১টি কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রন্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো— জেএমআই সিরিঞ্জ, মতিন স্পিনিং,ডমিনেজ স্টিল, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান কটন, এনভয় টেক্সটাইল, লিগ্যাছি ফুটওয়্যার, স্টাইল ক্রাফট, ড্রাগন সোয়েটার, অগ্নি সিস্টেমস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, খুলনা পাওয়ার, এমজেএল বাংলাদেশ, কোহিনুর কেমিক্যাল, মনোস্পুল পেপার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, কেডিএস এক্সেসরিজ, নাভানা ফার্মা, বিকন ফার্মা, বঙ্গজ ও এপেক্স স্পিনিং।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
জেএমআই সিরিঞ্জ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.
মতিন স্পিনিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.৬১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৫৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।
ডমিনেজ স্টিল: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৯ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০২ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।
ফারইস্ট নিটিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল (০.৩২) টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩২৮ শতাংশ।
আমান কটন: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৫ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৬০ শতাংশ।
এনভয় টেক্সটাইল: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৫৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ১.৪৫ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ।
লিগ্যাছি ফুটওয়্যার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল (০.১২) টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১০৮ শতাংশ।
স্টাইল ক্রাফট: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল (২.৫৮) টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১০৩ শতাংশ।
ড্রাগন সোয়েটার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩৪ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.১৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৮৯ শতাংশ।
অগ্নি সিস্টেমস: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৯২ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৫৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৫০ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৯৮ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ।
খুলনা পাওয়ার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৪ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
এমজেএল বাংলাদেশ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬.৬৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫.০১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৩৩ শতাংশ।
কোহিনুর কেমিক্যাল: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৭.৫৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৬.০৬ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
মনোস্পুল পেপার: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭২ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৬১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৬৩ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
কেডিএস এক্সেসরিজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.০৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৯১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
নাভানা ফার্মা: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.২৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২.০৯ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৮ শতাংশ।
বিকন ফার্মা: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৪৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩.২৫ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৭ শতাংশ।
বঙ্গজ: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.১৪ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৭ শতাংশ।
এপেক্স স্পিনিং: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.০১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ১.৯১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ঢাকা/এনটি/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম প ন ট র চলত
এছাড়াও পড়ুন:
টাকা জমা রেখে ১৩% পর্যন্ত মুনাফা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখার বিপরীতে মুনাফা হার গত অর্থবছরের মতই ১১ থেকে ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য এ হার নির্ধারণ করে আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১ শতাংশ মুনাফা মিলবে।
জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা একসময় ১৩–১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। এই হারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কমিয়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর এ হার অব্যাহত ছিল। বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে একই সুদহার বহাল রাখা হয়। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদও এত বেশি নয়—সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা কমিয়ে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের মতো সিপিএফভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি এক রকম না হওয়ায় তারা নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধানের আলোকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের স্লাবভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ ধরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফা হার নির্ধারণ করতে পারবে।