আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায়: বিমানের এমডি
Published: 30th, January 2025 GMT
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আগাম সিট বুকিং, টিকিট ব্লকিং এখন শূন্যের কোটায় বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, টিকিটিং নিয়ে কারসাজির কোনো তথ্য পেলেই অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিককালে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যের প্লেনের টিকিট ব্লকিং ও কৃত্রিম মজুতের বিষয়ে এমডি বলেন, বিমানে বর্তমানে আগাম সিট বুকিং বা টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোঠায়। বিষয়টি আমি নিজে মনিটরিং করি। এটা নিয়ে আগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তদের টিকিটিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। ব্যাগেজের বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করি। তবে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হলে ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে।
তিনি বলেন, ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিমানকর্মীদের গায়ে বডিওন ক্যামেরা থাকে। ব্যাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের ডিউটিতে প্রবেশের সময় তারা শরীরে ক্যামেরা লাগায়। ডিউটি শেষে ফেরার সময় ক্যামেরা ফেরত দেয়। নজরদারি বাড়াতে নতুন আরও ১৫০টি ক্যামেরা কেনা হয়েছে।
বিমানের হজ ফ্লাইটের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিমানের বহরে যতগুলো এয়ারক্রাফট রয়েছে, তা নিয়ে নির্বিঘ্নে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা যাচ্ছে। তবে হজ মৌসুমে এয়ারক্রাফটের চাহিদা বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে ২/১টি রুটের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে সেই এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আমরা আশা করছি, বরাবরের মতো এবারও হাজিরা নির্বিঘ্নে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ে পবিত্র হজ পালন করবেন।
বিমানের ফ্লাইট ডিলে শূন্যের কোটায় আনা, ক্রুসহ কর্মীদের আচার-ব্যবহার আরও নমনীয় করতে ও বিমানকে আরও যাত্রীবান্ধব করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বিমানের এমডি ও সিইও।
সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বিমানকে আরও যাত্রীবান্ধব করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এসময় এটিজেএফবির কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, যুগ্ম সম্পাদক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল ইট
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৬ ককটেল উদ্ধার, শ্রমিক দল নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৮
বাগেরহাটের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে শ্রমিক দলের এক নেতাসহ ১৮ জনকে ছয়টি ককটেলসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
কৃষি জমিতে ‘বোমা বিস্ফোণ’, কৃষক আহত
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, মো. সাগর হাসান, তুফান হাওলাদার, মো. মনি হাওলাদার, মো. নাইম মোল্লা, আরিফ হাওলাদার, রাজু মোল্লা, শাকিব আহম্মেদ রাজ, মো. সাজিদ, নিমাই সরকার, সিরাজুল শেখ, মো. মাশুক, মো. মিলন শিকদার, রবিউল সরদার, মো. ইয়াসিন আরাফাত ও মো. শাহীন ওরফে অভি শেখ। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি, নাগেরবাজার ও আশপাশের এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হযরত খানজাহান আলীর মাজার সংলগ্ন মোড়ে হোটেল জারিফে (আবাসিক) সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারীকে ককটেলসহ আটক করে তারা। এসময় ২-৩ জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত অবিস্ফোরিত ককটেল হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, এলাকায় আধিপত্য ও দখলবাজির জন্য হোটেলে ককটেল নিয়ে তারা গোপন বৈঠক করছিলেন।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, “শহরে আধিপত্য বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠককালে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ