মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার টুপিপাড়া খালপাড়া এলাকা থেকে মান্নান মোল্লা নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে খালের পাড়ে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত মান্নান ৩ নম্বর শ্রীকোল ইউনিয়নের টুপিপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মোটরসাইকেল চালক ও রাইড শেয়ারিং কাজে যুক্ত ছিলেন। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত মান্নান মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করেন। তিনি বিভিন্ন সময় মাগুরা জেলা শহর থেকে যাত্রী নিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতেন। গতকাল রাত্রেও তিনি যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে বের হয়েছিলেন। এরপর রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ভোরের দিকে স্থানীয়রা টুপিপাড়া মৎস্যভবন খালপাড়া এলাকায় তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

মাগুরা মাগুরা শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহম্মদ ইদ্রিস আলী জানান, টুপিপাড়া খালপাড়া এলাকায় মান্নান মোল্লা নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ