উদ্ভট সাজপোশাকের কারণে প্রায়ই সমালোচিত হয়ে থাকেন ১৩টি গ্র্যামিজয়ী মার্কিন সংগীতশিল্পী লেডি গাগা। ব্যক্তগত কারণে সমালোচিত হলেও প্রশংসিত হন তাঁর গানের কারণে। গাগাকে আন্তর্জাতিক সংগীতাঙ্গনের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গান দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে শুরু করে বিলবোর্ড, টাইম ও ফোর্বস সাময়িকীর ক্ষমতাবানদের তালিকাতেও উঠেছে তাঁর নাম। এবার নিয়ে আসছেন তাঁর সপ্তম স্টুডিও অ্যালবাম। নাম ‘মেহ্যাম’।
মার্কিন একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অ্যালবামটি আসছে ৭ মার্চ প্রকাশ হবে। গত সোমবার রাতে নিউইয়র্কের লাস ভেগাসে বিলবোর্ডের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। আসন্ন এ অ্যালবামে মোট ১৪টি গান থাকবে। এগুলোর মধ্যে কিছুদিন আগে প্রকাশিত ‘ডিজিস’ এবং ‘ডাই উইথ এ স্মাইল’ গানও থাকছে।
অ্যালবাম প্রসঙ্গে লেডি গাগা বলেন, ‘এ অ্যালবামটি শুরু হয়েছিল আমার সেই ভয়কে মোকাবিলা করার মাধ্যমে, যেটি আমি প্রথমদিকে পপ মিউজিকের প্রতি অনুভব করতাম এবং যে গানগুলো আমার শুরুর দিকের ভক্তরা ভালোবাসতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৃজনশীল এ কাজটি ছিল একটি ভাঙা আয়না ফের জোড়া লাগানোর মতো ঘটনা। যদিও আপনি টুকরাগুলো ঠিকভাবে জোড়া দিতে পারবেন না; তবে আপনি নতুনভাবে সুন্দর কিছু তৈরি করতে পারবেন, যা তার নিজস্বতার মাধ্যমে অসাধারণ হয়ে উঠবে।’
এদিকে গতকাল লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত ‘ফায়ার এইড’ কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন লেডি গাগা। এই কনসার্টে তাঁর পাশাপাশি বিলি আইলিশ, অলিভিয়া রদ্রিগো, স্টিভি নিক্স, জোনি মিচেলসহ অন্য শিল্পীরা মঞ্চ মাতান। ‘ফায়ার এইড’ কনসার্টের মূল উদ্দেশ্য হলো– লস অ্যাঞ্জেলেসে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং কমিউনিটির জন্য তহবিল সংগ্রহ করা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’