ঢাকায় পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব
Published: 30th, January 2025 GMT
রাজধানীতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.
মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে সাফ ফুটবল টুর্নামেন্ট বিজয়ী কৃতি ফুটবলার পার্বত্য চট্টগ্রামের ঋতুপর্ণা চাকমা, রূপনা চাকমা ও মনিকা চাকমা, আন্তর্জাতিক ফুটবল রেফারি জয়া চাকমা, জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা এবং ট্রায়াথলেট (আয়রনম্যান) রাজেশ চাকমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বরেন লাল ত্রিপুরা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড. রাশিদা ফেরদৌস।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা। এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম. খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিগণ ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনব্যাপী এ মেলায় ৮৩টি স্টল স্থান পেয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থাকছে পার্বত্য তিন জেলার ঐতিহ্যবাহী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।