খুলনা টাইগার্সের জন্য বিপিএলের শেষ দুই ম্যাচই বাঁচা-মরার। জিতলে তারা টিকে থাকবে সেরা চারে যাওয়ার লড়াইয়ে। হারলেই বিদায়। প্লে’ অফে যাওয়া হবে না।

সেই লড়াইয়ে আজ তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। যারা শেষ তিন ম্যাচে প্রচন্ড বাজেভাবে হেরেছে। দুইটি রাজশাহী বিপক্ষে, একটি চিটাগং কিংসের কাছে।

তবে খুলনার বিপক্ষে প্রথম দেখায় তারা ম্যাচ জিতেছিল অনায়েসে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই খুলনার বিপক্ষে মিরপুরে মাঠে নেমেছে রংপুর। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা। 
তাদের একাদশে আজ খেলছেন মুশফিক হাসান। গতকাল দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে আজই খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডানহাতি পেসার।

আরো পড়ুন:

বিপিএলে দল কমানোসহ সূচি পরিবর্তনের প্রস্তাব তামিমের 

রেকর্ড ভেঙে ৩৭ বলে ঢাকাকে উড়িয়ে দিল বরিশাল

খুলনা টাইগার্স: মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আবু হায়দার রনি, নাসুম আহমেদ, অ্যালেক্স রস, মোহাম্মদ নওয়াজ, মুশফিক হাসান ও উইলিয়াম বোসিস্তো।

রংপুর রাইডার্স: কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী হাসান, সাইফ হাসান, সাইফ উদ্দিন, সৌম্য সরকার, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান জুনিয়র, তৌফিক খান তুষার, আজিজুল হাকিম তামিম, ইফতেখার আহমেদ ও আকিফ জাভেদ। 

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ