মডেল বারিশ হক। ইচ্ছা ছিল অভিন জগতে ক্যারিয়ার গড়বেন। কিন্তু চেহারা ‘ফটোজেনিক নয়’ এমন মন্তব্য তাকে শুনতে হয়েছে। হতাশ হয়েছেন, নিজের পথ তৈরি করতে চেয়েছেন। নিজেকে একটু একটু করে ব্র্যান্ড প্রমোটর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই নামের ব্র্যান্ড ভ্যালু এখন অনেক বেশি। শুরুতে সাজ, পোশাক নিয়ে নেটিজেনদের বিরূপ মন্তব্য শুনতে হতো তাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাজ, পোশাক এমনকি তার হাসিতেও যুক্ত করেছেন পরিমিতি বোধ। বারিশ হকের সম্প্রতি তোলা কয়েকটি ছবি দেখে নেওয়া যাক।
প্রোফাইলের ছবিতে বারিশ হকের যে লুক তাতে মনে করিয়ে দিচ্ছে মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোকে। সাজে সৌন্দর্য বাড়িয়েছে চোখের সাজ। আইশ্যাডো ছুঁয়ে চিক পর্যন্ত নেমে গেছে পাথরের কারুকাজ। শিমার আইলুকে দেখা যাচ্ছে বারিশকে। তার সিল্কি চুল দুলছে বাতাসে। মিনিমাল মেকআপ আর ঠোঁটের ন্যুড লিপস্টিক সব মিলিয়ে শৈল্পিক করে তুলেছে বারিশ হককে।
হালকা রঙের লেহেঙ্গা, মুখের মিষ্টি হাসি আর আধো অবনমিত চোখে দারুণ লাগছে বারিশকে। বড় হার পরেছেন, কানের শোভা পাচ্ছে ম্যাচিং দুল। চোখের সাজে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জেগে উঠেছে গ্লসিভাব। ঠোঁট সাজিয়েছেন ম্যাট ন্যুড লিপস্টিক দিয়ে।
আরো পড়ুন:
চাকরিজীবী নারীর ত্বকের যত্ন
যেভাবে আদা খেলে ব্রণ দূর হয়
গাঢ় সবুজ কাতান শাড়িতে ট্রেডিশনাল লুক ফুটে উঠেছে। ভ্রু যুগলের মাঝে স্থান পেয়েছে ছোট্ট একটি লাল টিপ। দুই গালে ফুটে উঠেছে গোলাপি আভা। কানের ঝুমকা, আর গলায় হার দারুণভাবে মানিয়ে গেছে। কোমরে শোভা বাড়িয়েছে বিছা। খোপায় স্থান পেয়েছে লাল গোলাপ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে ত্বকে টোনার ব্যবহার কেন জরুরি ?
গরমের দিনে ঘাম,ধুলা, দূষণে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার খুবই জরুরি। এর পাশাপাশি এই মৌসুমে ত্বকের পরিচর্যায় স্কিন মিস্ট এবং স্কিন টোনার প্রয়োজন। ত্বকে আর্দ্র বজায় রাখতে সাহায্য করে এই দুই উপকরণ। এছাড়াও ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে এই দুই পদ্ধতি। বাড়িতেই খুব সহজে আপনি ফেস মিস্ট এবং স্কিন টোনার বানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে না। এই দুই পদ্ধতি র্যাশ, চুলকানি, ইনফেকশন,ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, জ্বালাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
যেভাবে বানাবেন ফেস মিস্ট ও টোনার
গোলাপজল: বাজারে অনেক কোম্পানিরই গোলাপজল কিনতে পাওয়া যায়। বাড়িতে পানির মধ্যে গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে হালকা আঁচে বেশ খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে পানি ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। মেকআপ করার আগে হোক, ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর, বাড়ির বাইরে থাকলেও তুলোর মধ্যে অল্প করে এই তরল স্প্রে করে নিয়ে ভালভাবে মুখ মুছে নিন। এতে ত্বক থাকবে আর্দ্র, মোলায়েম। ত্বকে আসবে সজীবতা।
শসা, পুদিনা পাতা: ছোট ছোট টুকরো করে শসা কেটে নিন। পানির মধ্যে পুদিনা পাতা আর এই শসার টুকরো দিয়ে রেখে দিন স্প্রে বোতলে। ফেস মিস্ট হিসেবে দারুণভাবে কাজ করবে এই উপকরণ। অনেকে ডিটক্স ড্রিঙ্ক হিসেবেও এই পানীয় খেয়ে থাকেন নিয়মিত। গরমের সময় এই পানীয় খেতে পারলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং শরীরের ভিতরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। যার ফলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে।
গ্রিন টি এবং ক্যামোমাইল টি : এই দু'ধরনের চায়ের টি-ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে নিন। চাইলে গরম পানিতে টি-ব্যাগ ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এরপর ওই মিশ্রণ ঠান্ডা করে ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। গ্রিন টি এবং ক্যামোমাইল টি থেকে থেকে দুই ধরনের তরল আপনি টোনার এবং ফেস মিস্ট দু'ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। এই উপকরণ ত্বকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে । নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বক হবে আর্দ্র, মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। ত্বকে সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই মিশ্রণ।