Samakal:
2025-03-03@20:13:41 GMT

সুরের টানে দিগ্বিদিক

Published: 30th, January 2025 GMT

সুরের টানে দিগ্বিদিক

অবসর কাকে বলে, তা হয়তো জানা নেই দিলশাদ নাহার কনার। সে কারণেই আমরা তাঁকে দেখি, দেশ-বিদেশে এক মঞ্চ থেকে আরেক মঞ্চে ক্রমাগত ছুটে যেতে। মঞ্চের ব্যস্ততা একটু কমলেই দেখি, তিনি মেতে উঠেছেন নতুন গানের আয়োজনে। অ্যালবাম যুগ থেকে শুরু করে অনলাইনে একক গানের প্রকাশনা শুরু পর্যন্ত তাঁর এই রুটিনের এতটুকু রদবদল হয়নি। পাশাপাশি ছিল সিনেমা, নাটক, অ্যালবাম, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল থেকে শুরু করে রেডিও, টিভি সব মাধ্যমেই তাঁর সরব উপস্থিতি। সে কারণেই কান পাতলেই কোনো না কোনো জায়গা থেকে ভেসে আসে নন্দিত এই শিল্পীর কণ্ঠস্বর। অনুরাগীদের কণ্ঠেও হরহামেশা শুনতে পাওয়া যায় তাঁর গানগুলো। অনিন্দ্য কণ্ঠ আর অনবদ্য পরিবেশনা দিয়ে প্রায় সব শ্রেণির শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে কনার।

সেই সুবাদে সময়ের অন্যতম ভার্সেটাইল কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচিতি। তাই প্রতিনিয়ত তাঁর কাছে শ্রোতার নতুন গানের প্রত্যাশা করা অবান্তর মনে হয় না। কনারও তাই থেমে থাকার অবকাশ মেলে না। সুরের টানে ছুটতে হয় দিগ্বিদিক। তবু এই ব্যস্ত জীবন ভালো লাগে কনার। তিনি বলেন, ‘কর্মই জীবন’– গুণীজনদের এ কথাটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি বলেই থেমে থাকতে চাই না। তার চেয়ে বড় কথা হলো, আমার কাছে শ্রোতার যে প্রত্যাশা, তা পূরণ করার একটা দায় অনুভব করি সবসময়। তাই যখন যে মাধ্যমে সুযোগ পাই, মনপ্রাণ উজাড় করে গেয়ে যাই। গানে গানে নতুন কিছু শেখারও চেষ্টা করি। একজন পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠার বাসনা থেকেই সংগীতের প্রতিটি মাধ্যমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’ কনার এ কথা থেকে এটা তো বোঝা গেল যে, কতটা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একের পর এক গান গেয়ে তিনি কি শুধু কাজের সংখ্যাই বাড়িয়ে যাচ্ছেন, নাকি সেখানে থাকছে সময়ের ছাপ?

এ প্রশ্ন মনে উঁকি দিতেই আমরা নজর দিলাম তাঁর সর্বশেষ কাজের তালিকায়। দেখা গেল, সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদে সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে আদৌ গা ভাসাননি এই কণ্ঠশিল্পী; বরং প্রতিটি আয়োজনে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। একই সঙ্গে গায়কীতে নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টাও ছিল তাঁর। নিরীক্ষাধর্মী আয়োজন থেকেই পিছিয়ে আসেননি। এসব দেখে কনার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শিল্পীজীবনের এই ব্যস্ত শিডিউল মেলান কীভাবে? এর উত্তর দিতে গিয়ে কনা হেসে বলেন, এ বিষয়টা আমার কাছেও এক রহস্য।

জানি না কীভাবে যেন সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলি। কোথাও বেড়াতে গেলাম, তখনও অনুভব করি মনের মধ্যে সুরের খেলা চলছে। ঘরোয়া আড্ডাতেও ঘুরেফিরে চলে আসে গানের প্রসঙ্গ। আসলে যখন যা কিছুই করতে চাই, তার মধ্যে সংগীতের আবহ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। যা থেকে প্রমাণ হয়, সংগীতের নেশায় আমি পুরোপুরি আসক্ত, সাত সুরের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিনের রুটিনে সিংহভাগ সময় সংগীতের দখলেই থেকে যায়; যার জন্য আলাদা করে শিডিউল তৈরি করতে হয় না। শুধু লিখে রাখা জরুরি কোনো কোথায় রেকর্ডিং, কবে কোথায় শো। আর এভাবেই আমি পাড়ি দিয়ে চলেছি, শিল্পীজীবনের পথ।’ v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ