পত্রিকা বিক্রেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কুড়িগ্রামের সুহৃদরা
Published: 30th, January 2025 GMT
কুড়িগ্রামে সমকাল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে চলছে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। এর ধারাবাহিকতায় শীতের উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে পত্রিকা বিক্রেতা ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে।
২৩ জানুয়ারি রাতে শহরের উলিপুর ডটকম কার্যালয়ে তৃতীয় দফায় উলিপুরের সংগঠক মারুফ আহম্মেদের সহযোগিতায় পত্রিকা বিক্রেতাদের এবং ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চর কুড়িগ্রাম এলাকায় দিনমজুরদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা।
এ সময় দেশ টিভির সাংবাদিক জুয়েল রানা, নাগরিক টিভির সাংবাদিক ফজলুল হক ফারাজি, পত্রিকা বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমকালের এজেন্ট মো.
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন সুহৃদদের শীতবস্ত্র বিতরণ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এই শীতে সদর উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার ছিন্নমূল মানুষকে কম্বল দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এ কাজে সুহৃদরা এগিয়ে এসেছেন। অনেক ধন্যবাদ সুহৃদ টিমকে।’
পত্রিকা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা পত্রিকা বিক্রেতারা পাঠকের কাছে সাংবাদিকদের খবর পৌঁছে দেই। কয়েকজন সাংবাদিক ছাড়া আমাদের কেউ তেমন খোঁজখবর রাখে না। গত ২ বছর ধরে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
তরুণ সংগঠক মারুফ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সমকালের কুড়িগ্রামের সুহৃদরা এই শীতে দারুণ কাজ করছে। আমরা এ কাজে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ তবস ত র ব তরণ সহয গ ত সমক ল ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বাংলাদেশির সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডির ২ কোটি ৯০ লাখ (২৯ মিলিয়ন) ডলারের প্রকল্প দুই বাংলাদেশির মালিকানাধীন সংস্থাকে দেওয়ার দাবি সত্য নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অনুসন্ধান করেছে।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পর অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি নেয়। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।
এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল, রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়ানো, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চার উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ দেওয়া। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও চালায়।
শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।
মন্ত্রণালয় বলছে, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়।