বিরতির পরের নাটকীয়তায় প্লে-অফে সিটি
Published: 30th, January 2025 GMT
সময়টা কত খারাপই না যাচ্ছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির! চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউটে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হলো গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। যেখানে বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে বিরতিতে যাওয়ার সময়ও ফ্যানরা ধরেই নিয়েছিলেন যে, সিটি বাদ পড়তে যাচ্ছে আসরটির প্রথম পর্ব থেকেই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ২৪ মিনিটের নাটকীয়তায় ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে সিটি। ফলে প্লে-অফ নিশ্চিত করা ইংলিশ ক্লাবটি টিকে রইল চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ ষোলোতে যাওয়ার দৌড়ে।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিটে কোনো শটই থাকেনি লক্ষ্যে। এই সময়ে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলরক্ষকদের কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। অন্যদিকে প্লে-অফে পৌঁছাতে সিটির সামনে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না। এসবের মাঝে ১৭তম মিনিটে বল জালে পাঠান সিটির ইকলাই গুন্দোয়ান। তবে এই জার্মান মিডফিল্ডার অফসাইডে থাকায় ম্যাচের স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সেই হতাশা আরও জেঁকে বসে ৪৫তম মিনিটে। ব্রুগের মিডফিল্ডার রাফায়েল ওনিয়েডিকার গোলে পিছিয়ে পড়ে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।
আরো পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ ম্যাচের মহারণ, দলগুলোর শেষ সমীকরণ
ম্যানসিটিকে বিপদে রেখে ক্লাব ছাড়লেন ওয়াকার
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে সিটিজেনরা। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে মাঝমাঠে জন স্টোনসের কাছ থেকে বল পেয়ে একাই সামনে এগিয়ে যান ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার কোভাচিচ। তিনি ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে মাপা শটে গোল করলে সমতায় ফেরার স্বস্তি আসে ইতিহাদে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হাওয়া হয়ে যেতে পারত। ৫৫ ও ৫৬তম মিনিটে পরপর দুটি দারুণ আক্রমণ শানায় ব্রুগে। দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সিটির রক্ষাকর্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদারসন।
ম্যাচের ৬২তম মিনিটে উল্লাসের ঢেউ ওঠে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। বাম প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ইয়োসকো ভারদিওলের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন ডিফেন্ডার ওরদোনেজ। তার পায়ে লেগে বল অতিক্রম করে গোললাইন। এরপর সিটিকে আর পায় কে? আক্রমণে রীতিমত নাচিয়ে ছাড়ে ব্রুগেকে। ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে আবারও গোল পায় সিটি এবং এবারও অ্যাসিস্ট আসে স্টোনসের কাছ থেকে। এই ইংলিশ ডিফেন্ডারের ক্রসে বল পেয়ে নজরকাড়া ফিনিশিংয়ে স্কোরলাইন ৩-১ করে ফেলেন সাভিনিয়ো।
এতে পয়েন্ট তালিকার ২২তম স্থানে থেকে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। আট ম্যাচে তিনটি জয় ও দুটি হারে তাদের অর্জন ১১ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন কাঠামো অনুযায়ী ৩৬ দলের গ্রুপ পর্ব শেষ হলো। শীর্ষ আটটি সরাসরি নাম লিখিয়েছে শেষ ষোলোতে। বাকি আটটি স্থানের জন্য প্লে-অফে লড়াই করবে ৯তম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬টি দল। সেখানে মুখোমুখি দলগুলোর মাঝ থেকে দুই লেগের ম্যাচে জয়ী ৮টি দল পৌঁছে যাবে শেষ ষোলোতে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’