বিভাগীয় প্রধানের পরনে ছিল লাল বেনারসি, গলায় গোলাপ-রজনীগন্ধার মালা। শ্রেণিকক্ষে তাঁর সিঁথিতে সিঁদুরে পরিয়ে দিচ্ছেন প্রথম বর্ষের ছাত্র, সেখানেই হয় তাদের মালাবদল। শ্রেণিকক্ষই যেন হয়ে গেল ছাঁদনাতলা। শিক্ষিকা-ছাত্রের ‘বিয়ের’ এমন রোমঞ্চকর দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ছাত্রের সহপাঠীরা। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের নদিয়ার হরিণঘাটার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ছাত্র-শিক্ষিকার ‘বিয়ের’ সেই ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। শুরু হয় শোরগোল। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি সত্যি বিয়ে ছিল না কি অভিনয়? যদিও ‘বিয়ের’ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই অধ্যাপিকা তথা অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-শিক্ষিকার আলোড়ন তোলা ‘বিয়ের’ ঘটনা ঘটে, যার সাক্ষী ছিলেন ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা।

এদিকে ‘বিয়ের’ ভিডিও দেখে বিভাগীয় প্রধানকে তড়িঘড়ি ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রেরও খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে সহপাঠীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে তাঁর এমন আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মৌখিকভাবে তিনি তার জবাবও দিয়েছেন। শিক্ষিকা দাবি করেছেন, একটি প্রজেক্টের জন্য শ্রেণিকক্ষে এমন “অভিনয়” করা হয়েছিল।’ 

কিন্তু মালাবদল, সিঁদুরদান প্রজেক্টের অংশ হলে এবং পুরো বিষয়টিই ‘অভিনয়’ হলে বিভাগীয় প্রধানকে কেন ছুটিতে পাঠানো হল সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ