যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে ১৮ মরদেহ উদ্ধার
Published: 30th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ আকাশে আমেরিকান এয়ালাইন্সের উড়োজাহাজ ও মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। খবর বিবিসির
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর জরুরি সাড়াদান কর্মীদের ‘অবিশ্বাস্য’ কর্মতৎপরতার জন্য তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতিসম্পর্কিত আরও তথ্য পেলে পরবর্তী সময়ে তা বিস্তারিতভাবে জানাবেন তিনি।
ডিসি ফায়ার অ্যান্ড ইএমএস ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, শহরটির পটোম্যাক নদীতে বিমানটি আছড়ে পড়েছে। বর্তমানে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
বিবিসি জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে এই সংঘর্ষ হয়েছে। ফ্লাইটটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন কেবিন ক্রু এবং হেলিকপ্টরটিতে তিন সেনাসদস্য ছিলেন।
সিবিএসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বম্বার্ডিয়ার সিআরজে ৭০০ সিরিজের উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে কানসাস থেকে ওয়াশিংটনে যাচ্ছিল। এফএএ ও ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) ঘটনার তদন্ত করছে। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির জরুরি সেবা দল রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন স ঘর ষ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’