উন্নত চিকিৎসার জন্য অভ্যুত্থানে আহত আরও ৬ জন থাইল্যান্ডে
Published: 30th, January 2025 GMT
অভ্যুত্থানে আহত আরও ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের থাইল্যান্ডগামী ফ্লাইটে তাদের পাঠানো হয়। এদের ৩ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং ৩ জন ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়। এ নিয়ে অভ্যুত্থানে আহত ২৮ জনকে বিদেশে পাঠানো হলো।
সিএমএইচ থেকে যে ৩ জনকে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- মোহাম্মদ ইসরাফিল (১৫), রোমান ঢালী (১৭) ও তাহসিন হোসেন (১৩)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যে ৩ জনকে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন রাজিব (৩৬), মিজানুর রহমান ও হাফিজুর রহমান হাবিব।
আন্দোলনের সময়ে মোহাম্মদ ইসরাফিলের বাম হাতে গুলি লাগে। এতে তার বাম হাতের নার্ভ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে হাড় ভেঙে গেছে। রোমান ঢালি ও তাহসান হোসেনের পিঠে গুলি লেগেছে। এতে তাদের স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি হয়েছে। তারা হাঁটাচলা করতে পারছেন না। হাফিজুর রহমান হাবিবেরও পুলিশের গুলিতে স্পাইনাল কর্ডে ইনজুরি দেখা দেয়। রোবটিক ফিজিওথেরাপির জন্যই তাদের পাঠানো হয়েছে।
রাজিবের (৩৬) মাথায় গুলি লাগে। অপারেশনের পরেও তার অবস্থা উন্নতি হচ্ছে না। তাই তাকে পাঠানো হয়েছে। মিজানুর রহমানের গুলি লেগে তার মুখ মন্ডলের অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায়। অপারেশনের জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/এএএম/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।
কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।
মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন