নতুন কাউকে যোগ না করে তিন জনকে বাদ দিয়ে স্থগিত করা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, কথাসাহিত্য ও শিশুসাহিত্যে এবার কাউকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নতুন এ তালিকা প্রকাশ করেছে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ। পুরস্কার কমিটির সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার স্থগিত

এতে বলা হয়, বুধবার রাতে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের পুনর্বিবেচনা সভায় স্থগিতকৃত পুরস্কৃত লেখক তালিকার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন ঘোষিত তালিকায় এবার সাত জন পুরস্কার পাচ্ছেন; আগের তালিকায় ১০ জনকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।

পুরস্কার কমিটি কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হান্নান এবং শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজকে বাদ দিয়েছে। তবে স্থগিত হওয়ার পর সেলিম মোরশেদ তা প্রত্যাখান করার কথা বলেছিলেন।

এতে করে এবার কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্য: শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞান: রেজাউর রহমান, ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জন

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করার পর তালিকায় থাকা কারো কারো সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় ২৫ জানুয়ারি পুরস্কার স্থগিত করা হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল বাংলা একাডেমি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ বলেছে, "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নীতিমালার চতুর্থ অধ্যায়, নবম ধারা অনুযায়ী নির্বাহী পরিষদ নতুন কাউকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবেন না এবং দশম ধারা অনুযায়ী সুপারিশকৃত কোনো নাম বিবেচনা না করার ক্ষমতা 'বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ' সংরক্ষণ করেন।"

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেবেন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক ড ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ মামলায় যেকোনো সময় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। এটা আদালতে আমরা প্রমাণ করব ইনশা আল্লাহ। সেটার ওপর বাকি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করব তাঁর অপরাধ।’

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে ব্যাপক কাজ করেছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে আসে নাই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।’

ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, কোনো মামলায় তদন্ত শেষে প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর পর্যালোচনা ও যাচাই শেষে সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর বা তাঁর কার্যালয়।

কবে নাগাদ শেখ হাসিনার মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে, তা জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে এখন। …যেকোনো সময় দাখিল হয়ে যাবে।’

গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা (বিবিধ মামলা বা মিস কেস) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় আগামী ২০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যটিতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ