সংবিধান স্থগিত করে সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) লিডার আহমেদ আল-শারাকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাকে। গতকাল বুধবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়টি সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) সরকারের সামরিক অপারেশন বিভাগের মুখপাত্র হাসান আবদেল ঘানি ঘোষণা দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে।

এ সময় আবদেল ঘানি দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, সব সামরিক গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শাসনামলের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা ও বাথ পার্টি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তড়িৎ অভিযানে যোগ দেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দামেস্ক বৈঠক শেষে এই ঘোষণাগুলো এসেছে। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে আল-শারা সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আল-আসাদের অপসারণের পর আল-শারার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপ সিরিয়ার প্রধান শাসক দল হয়ে ওঠে এবং বিদ্রোহীদের দখলকৃত ইদলিব প্রদেশে তারা আগে যে স্থানীয় সরকার চালাত তার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল শ র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ