হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শ্রীকুটা এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মধ্য নরপতি গ্রামের মো. আক্কাস মিয়া (২৮) ও উত্তর নরপতি গ্রামের জুনাইদ আহম্মদ (২৪)।

বুধবার রাতে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো.

নুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে দুই আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় থানার এসআই মো. আল মামুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলার বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, উপজেলার শ্রীকুটা এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বৈদ্যুতিক তারের লাইন রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় লোকজনদের সাথে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। 

এ সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে আসামিরা পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় এসআই মো. আল মামুনসহ অন্যান্যরা আহত হন। পরে হামলায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/মামুন/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই

ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে। 

এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। 

বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন। 

এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। 

এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
  • চুরির অপবাদে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • বান্ধবীকে জন্মদিনের উপহার দিতে পিস্তল নিয়ে জুতা চুরিতে শিক্ষার্থী
  • পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন-গুলির অভিযোগ, সাবেক ২ ওসিসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
  • ওসিসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
  • ব্যস্ত জংশনে শুনশান নীরবতা