ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

তবে মমতাকে বিয়ে করার আগে তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন চন্দ্রোদয় ঘোষ। একটি কাগজে এসব লিখে দিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে মমতা শঙ্কর বলেন, “আমাকে যখন প্রথম প্রপোজ করেছিল, তখন তিনটি শর্ত দিয়ে প্রপোজ করেছিল চন্দ্রোদয়। এক.

তুমি কোনোদিনও নাচ ছাড়তে পারবে না। তখন আমি অভিনয় জীবনে আসিনি। দ্বিতীয়. তুমি কোনোদিনও গান গাওয়া ছাড়তে পারবে না। এখন আমার গলা শুনলে কেউ বলবে না, এক সময় আমি গান শিখতাম। তিন নাম্বার শর্তটি শোনার জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম। তিন নাম্বারে লিখেছিল— ‘তুমি আমাকে কোনোদিনও ভুল বুঝবে না।”

১৯৭৮ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন মমতা শঙ্কর ও চন্দ্রোদয় ঘোষ। এ দম্পতির দুই সন্তান। তারা হলেন— রাতুল শঙ্কর ঘোষ, রজিত শঙ্কর ঘোষ। মমতা-চন্দ্রোদয়ের ৪৭ বছরের দাম্পত্য জীবন। আবার জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে এলে স্বামী চন্দ্রোদয় ঘোষকেই বিয়ে করতে চান মমতা।

এই ইচ্ছা প্রকাশ করে ‘মৃগয়া’খ্যাত অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর বলেন, “আমি নিশ্চয়ই আবার জন্ম নেব। কারণ আমি অত বড় মাপের মানুষ হয়ে যাইনি যে, আমার আর জন্ম হবে না। আমি যদি আবার জন্ম নিই তাহলে ওকেই (চন্দ্রোদয়) বিয়ে করতে চাই। আমাদের অনেক দ্বিমত আছে; অনেক কিছু আছে যেটা মেলে না। কিন্তু বন্ডিং আছে।”

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইরেশ জাকেরের বিরুদ্ধে মামলা খুবই বিরক্তিকর: ফারুকী

অভিনেতা ইরেশ জাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ার বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

আজ সোমবার সচিবালয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশি শর্টফিল্ম ‘আলী’র প্রদর্শনীর আমন্ত্রণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপিকর্মী মাহফুজ আলম (শ্রাবণ) হত্যার অভিযোগে অভিনেতা ইরেশ জাকেরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এখন সরকারের অংশ, অ্যাকটিভিস্ট নই। অ্যাক্টিভিস্ট হলে কথা বলতাম বেশি। সরকারের অংশ হওয়ায় আমাকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হয়।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘ইরেশ জাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। জুলাই আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। ফলে এটা ডিপলি ট্রাবলিং অ্যান্ড ডিপলি ডিস্টার্বিং (খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক)।’ তিনি বলেন, ‘মামলা করেছেন একজন, এটি রাষ্ট্রপক্ষের মামলা নয়। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, মামলা করার স্বাধীনতা সবার আছে। সেই স্বাধীনতার কেউ অপব্যবহারও করছেন।’

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ এটার সঠিক তদন্ত করবে। যেটা সত্য, সেটার পক্ষে থাকবে, যেটা মিথ্যা, সেটা বাতিল করবে।’

এ বিষয়ে আপনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের অনেক কাজ আমরা প্রকাশ্যে বলতে পারি না। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু কিংবা যা কিছু সাংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলোর সঙ্গে আমি বা আমার মন্ত্রণালয় জড়িত থাকি। তবে সব ক্ষেত্রে আমরা বলি না এই কাজ আমরা করছি।’

সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা অনেক কাজ করছি। যেটা আমাদের দায়িত্ব। সেই বিষয়ে পিআর (জনসংযোগ) করি না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ