নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপির সাবেক এমপির জনসভা
Published: 30th, January 2025 GMT
প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ২০০ মিটারের মধ্যে জনসভা আহ্বান করে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া। গতকাল বুধবার বিকেলে মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামে ডাকা দুই জনসভায় নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই জনসভা করেছে সাবেক সংসদ সদস্যের পক্ষ।
জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনসভাস্থলে এসে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা, নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে ফজলুল হক, সেকেন্ড অফিসার সমর বড়ুয়া ও নাঙ্গলকোটে দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তারা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শে দুপুর ১২টার দিকে নিজেদের জনসভা স্থগিতের ঘোষণা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলার আহ্বায়ক নজির আহম্মেদ ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন নয়ন, নাঙ্গলকোট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন মেম্বার, সদস্য সচিব অব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ।
অপরদিকে, উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিকেলে জনসভা করে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার পক্ষ। জনসভায় মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া।
জনসভার অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার সমকালকে বলেন, ‘আমরা দু’পক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জনসভা না করার জন্য বলেছি। এক পক্ষ শুনেছে, অপর পক্ষ শোনেনি। কোনো অনুমতি ছাড়াই তারা জনসভা করেছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ জনসভ এমপ ন ঙ গলক ট উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’