আওয়ামীপন্থি আইনজীবীকে জামিন, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
Published: 30th, January 2025 GMT
আওয়ামীপন্থি দুই আইনজীবীকে মামলা থেকে জামিন করানোর ঘটনায় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতিকে আইন পেশা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্ররা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিএনপি নেতার গাড়িতে ২০২৩ সালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আলম মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়সহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজিজুল হক, ধামশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস আলী, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন, কলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জিয়নপুর আওয়ামী লীগের বেলায়েত হোসেন ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখিনুর রহমান। পরে আজিজুল হক, ইদ্রিস আলী ও ছানোয়ার হোসেনকে জামিন দেন বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা। অন্য তিন আসামিকে তিনি জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ এফ এম নুরতাজ আলম বাহার জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে তিনি বিরোধিতা করেছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মেজবাউল হক, নজরুল ইসলাম বাদশা ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আবুল কাশেমসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মেজবাউল হক বলেন, একজন আইনজীবী যে কোনো মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন। তিনি তাঁর দু’জন সহকর্মীর জন্য জামিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। কারণ মামলার ঘটনাটি ৫ আগস্টের অনেক আগের। যাদের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন, তারা দু’জনই আইনজীবী এবং অসুস্থ। যারা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছে, তারা বৈষম্যবিরোধী ব্যানার ব্যবহার করেছে। আগামীতে তিনি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হওয়ার কারণে নিজ দলের অন্য প্রার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ এস জিন্নাহ কবীর জানান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মেজবাউল হক দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে জামিন শুনানি করেছেন। এতে তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। এ কারণে (আজ) বৃহস্পতিবার তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সদুত্তর দিতে না পারলে বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ আইনজ ব ম ন কগঞ জ ব এনপ র স দ লতপ র আইনজ ব আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও বামপন্থিদের গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি। তাদের অনুপস্থিতিতে সভাপতি ছাড়া অন্য পদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জামায়াতের আইনজীবীরা।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হবে। গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর প্রচার শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, সভাপতি প্রার্থী মজিবুর রহমান নান্টু, আলী হায়দার বাবুল ও এস এম সাদিকুর রহমান লিংকন বিএনপিপন্থি। সহ-সভাপতি পদে বিএনপির দুই প্রার্থী অসীম কুমার বাড়ৈ ও তারিকুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে মির্জা মো. রিয়াজ হোসেন ও তারিকুল ইসলাম বিএনপির, অন্য প্রার্থী সালাউদ্দিন মাসুম জামায়াত নেতা। অর্থ সম্পাদক পদে বিএনপির আব্দুল মালেকের বিপরীতে রয়েছেন জামায়াতের ফরিদ উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে বিএনপির প্রার্থী বিউটি সুলতানা ও আবদুর রহমান চোকদারের বিরুদ্ধে জামায়াতের মনির হোসেন ও রুহুল আমিন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যর চার পদের বিপরীতে ছয়জনই বিএনপিপন্থি।
গত বছর নির্বাচনে ১১ পদের মধ্যে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০টিতে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ জয় পায়। গত ১ জানুয়ারি বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা জরুরি সভা করে বিজয়ীদের অপসারণ করে গতবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পরাজিত সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে আওয়ামী ও বামপন্থিরা নির্বাচন বর্জন করেছে।
আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি লস্কর নুরুল হক জানান, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অবৈধভাবে জরুরি সভার নামে কমিটি দখল করেছে। প্রতিবাদে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, আওয়ামী ও বামপন্থি আইনজীবীদের অংশ নিতে আহবান জানানো হলেও আসেননি। এ দায় আমাদের নয়।