গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর গতকাল বুধবার ভোরে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মাসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

সাফায়াত সাজিদ (৬) নামে এই শিশু উপজেলা সদরের কাপাসিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে তার নানা মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ হয়। সে দস্যুনারায়ণপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সোহাগ মিয়ার একমাত্র ছেলে।

শিশুটির নানা মজিবুর রহমান জানান, সাফায়াত দস্যুনারায়ণপুর গ্রামের বঙ্গতাজ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা সৌদি আরব প্রবাসী হওয়ায় সে প্রায়ই নানার বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়া-আসা করত। গত বৃহস্পতিবার তাঁর মেয়ে শান্তা মনি ও নাতি সাফায়াত তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে স্কুল থেকে নানার বাড়ি ফিরে রাস্তার পাশে খেলা করছিল সাফায়াত। এর কিছুক্ষণ পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সন্ধ্যায় তারা কাপাসিয়া থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। বুধবার সকালে শান্তা মনি ও তাঁর মা বাড়ির পাশে নদীর তীরে খুঁজতে গিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ২০ গজ দূরে একটি বালুর স্তূপের পাশে বাজারের ব্যাগে সাফায়াতের লাশ দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, কিছু দিয়ে গলায় আঘাত করা হলে তার মৃত্যু ঘটে। শিশুর মা শান্তা মনি ও তার খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ