টাঙ্গাইল শহরের সবুজবাগ বাগানবাড়ীতে অবস্থিত ইয়ং ইকোনমিক সোসাইটি (ইয়েস) নামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাহকের প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে ওই সংস্থার আমানতকারীরা উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

সংস্থাটির বাগানবাড়ী শাখার সাবেক হিসাবরক্ষক ও আমানতকারী নিতাই চন্দ্র রায় লিখিত বক্তব্যে জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইয়েসের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সংস্থাটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নেন। ২০২০ সালে সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সংস্থাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে ৯টি শাখার মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ শুরু করে।

অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ৯টি শাখার মাধ্যমে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আমানত ও সঞ্চয় সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে শুধু শহরের সবুজবাগ বাগানবাড়ীর প্রধান শাখা থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। চলতি বছরের শুরুতে আমানতকারীর জমানো টাকা ফেরত না দিয়ে সবকটি শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন পালিয়ে গেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ইয়েস নামে এনজিওতে যাদের চাকরি হয়েছে, তারাও ৩, ৫ ও ৭ লাখ টাকা করে লাভের আশায় আমানত রেখেছেন। ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আমানতকারীদের টাকার বিপরীতে লভ্যাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। এরপর আমানতকারীরা জমা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ সব শাখা বন্ধ করে দিয়ে সংস্থার প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন– টাঙ্গাইলের সালমা পারভীন, নাসরিন সুলতানা, ইয়াছমিন আক্তার স্মৃতি, মলিনা বসাকসহ প্রায় ২৫ আমানতকারী।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ১৫ ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ